খালি কন্টেইনারের ফোর্সড শিপমেন্ট বাতিলের দাবি শিপিং এজেন্টদের
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজযোগে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং সহ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে খালি কন্টেইনারের ফোর্সড শিপমেন্ট প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছে শিপিং এজেন্টরা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন ফোর্সড শিপমেন্ট বাতিল করতে পৃথকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে।
২০১৫-২০১৬ সালে যখন চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট ছিলো তখন খালি কন্টেইনারে ফোর্সড শিপমেন্ট প্রথা চালু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে খালি কন্টেইনার ফেরত না নেওয়ার চাহিদা থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জাহাজ ছাড়া অন্য জাহাজে খালি কন্টেইনার তুলে দিতো।
সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ জহির টিবিএসকে বলেন, আমদানি কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ধারণক্ষমতার অর্ধেকেরও কম। খালি কন্টেইনারের সংখ্যাও অনেক কম। তাই ফোর্স শিপমেন্ট প্রথা বাতিল করে দেওয়া সময়ের দাবি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বন্দরে বর্তমানে কন্টেইনার ধারণ সক্ষমতা ৫৩৫১৮। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল বন্দরে কন্টেইনার ছিলো ২৪১৯৯ টিইইউস। খালি কন্টেইনার ছিলো ৩৯২ টিইইউস।
বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) সাধারণ সম্পাদক এএস চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে কনটেইনার জট আবার দেখা দিলে এই প্রথা পুনরায় চালু করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ টিবিএসকে বলেন, 'এমনিতে বৈশ্বিক মন্দার কারণে শিপিং খাতের ব্যবসা ভালো নয়। যেহেতু এখন কন্টেইনার জট নেই তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ ফোর্সড শিপমেন্ট বাতিল করে দিতে পারে।'
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, 'সার্বিক অবস্থা দেখে ফোর্সড শিপমেন্ট সিদ্ধান্তটি বাতিল করা যায় কিনা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখবে।'