প্রেস কনফারেন্স ডেকে ১০জুন রাতে যা ঘটেছিলো তার অডিও রেকর্ড শোনালেন ডা. সংযুক্তা সাহা
সেন্ট্রাল হাসপাতালে মা ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ৯ জুন রাতে যা ঘটেছিল, তার অডিও রেকর্ড আজ (২৪ জুন) সকালে প্রেস কনফারেন্স ডেকে সাংবাদিকদের শোনালেন ডা. সংযুক্তা সাহা।
সংযুক্তা সাহার পরিবাগের বাসায় আজ সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের ডেকে ডা. শাহজাদীর আরেকটি অডিও রেকর্ডও শোনান তিনি।
৯ জুন রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা থেকে প্রসব বেদনা নিয়ে মাহবুবা আক্তার আঁখি যখন সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসেন তখন ডা. সংযুক্তা সাহা দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি যে দেশে নেই সে বিষয়ে রোগীকে বা তার স্বজনকে কিছু না জানিয়েই রোগী ভর্তি করান ডা. শাহজাদী।
সেই রাতে আঁখিকে ভর্তি থেকে শুরু করে সিজার করানোসহ হাসপাতালে যা যা হয় তা অডিও রেকর্ড করে ডা. সংযুক্তা সাহাকে জানান ডা. মুনা।
অডিও রেকর্ডে বলা হয়, আঁখিকে ভর্তির প্রক্রিয়ার সময় ডা. মুনা ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ডা. সংযুক্তা সাহা যে নেই সে বিষয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলবেন।
লেবার রুমে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব না হওয়ায় ডা. শাহজাদী আঁখিকে ওটি-তে নিয়ে যান। তাই ডা. মুনা ভাবেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা দেশে না থাকার বিষয়টি ডা. শাহজাদী জানিয়েছেন।
আবার ডা. শাহজাদী বলেন, তিনি ভেবেছিলেন ডা. মুনা রোগীর স্বজনকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। যার ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা বর্তমানে জেলে আছে।
ডা. সংযুক্তা সাহা যে তিনদিন দেশে থাকবেন না তা তিনি হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেন। সে কারণে ওই সময় তার কোন রোগীর সিরিয়াল নেওয়া হয়নি।
নিজ অনুপস্থিতিতে প্রফেসর ডা. সামিনা চৌধুরীকে তার পেশেন্ট দেখার অনুরোধ করে এসএমএস দিয়েছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।
১৩ বছর ধরে ডা. সংযুক্তা সাহার বিএমডিসির লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমার নিবন্ধন আছে, কিন্তু সেটি রিনিউ করা হয়নি। সময়ের অভাবে রিনিউ করতে পারিনি, এটা আমার ভুল হযেছে। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইন সিস্টেম ছিল এটা আমি জানতাম না।"