দ্বিতীয় দিনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ১৮,৫৭১টি যানবাহন; টোল আদায় ১৫ লাখ টাকা
চালু হওয়ার দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মোট ১৮ হাজার ৫৭১টি যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ ব্যবহার করেছে। এসব যানবাহন থেকে মোট ১৫.০৬ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক এএইচএম শাখাওয়াত আক্তার।
গতকালের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে টোল আদায় বেড়েছে ২৫.৮ শতাংশ, আর যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে ২৬.১ শতাংশ।
১২ হাজার ৭৪০টি দক্ষিণমুখী যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ২২১টি বিমানবন্দর থেকে ও ২ হাজার ৫১৯ কুড়িল থেকে চলাচল করেছে।
অন্যদিকে, বনানী থেকে ১ হাজার ৭১৮টি এবং তেজগাঁও থেকে ৪ হাজার ১১৩টিসহ মোট ৫ হাজার ৮৩১টি উত্তরগামী যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করেছে।
এর আগে (৩ সেপ্টেম্বর) রোববার প্রথম ১৬ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে ১৭ হাজার ৮৭২টি যানবাহন। এতে প্রথম ১৬ ঘণ্টায় টোল আদায় হয়েছে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা।
দক্ষিণগামী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭২৩টি। এর মধ্যে ৯ হাজার ৫৯৮টি যানবাহন বিমানবন্দর থেকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, মহাখালী ও ফার্মগেট পর্যন্ত চলাচল করে এবং ২ হাজার ১২৫টি কুড়িল থেকে কামাল আতাতুর্ক, মহাখালী ও ফার্মগেট পর্যন্ত যাতায়াত করে।
রোববার সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার আরও ১১ কিলোমিটার র্যাম্প ও লিঙ্ক লাইনসহ সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন। রোববার সকাল ৬টায় অবকাঠামোটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার আওতায় ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃত্বে একটি কনসোর্টিয়ামের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার এ প্রকল্প ব্যয়ের ২৭% ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফাইন্যান্সিং হিসাবে প্রদান করছে।
সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের গ্যারান্টি দিয়েছে, এ সড়কে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার যানবাহন চলবে।