খুচরা পর্যায়ে আধা লিটার পানির বোতলে লাভ ৮-৯ টাকা!
বাজারে খুচরা বিক্রেতারা বোতলজাত পানিতে অস্বাভাবিক মুনাফা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সংগঠনটি বলছে, আধা লিটারের একেকটি পানির বোতল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, যেখানে খুচরা দোকানিরাই লাভ করছেন ৮-৯ টাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্যাব আয়োজিত এক মানবন্ধনে বোতলজাত পানির অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন।
মানববন্ধনে ক্যাব জানায়, কয়েকদিন আগে ৫০০ মিলি লিটারের পানির বোতলের দাম ছিল ১৫ টাকা। সেখান থেকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এখন দাম বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে এক লিটার, দুই লিটার, তিন লিটার ও পাঁচ লিটারের পানির বোতলের দামও বাড়ানো হয়েছে।
ক্যাব বলছে, আধা লিটারের এক বোতল পানি পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ টাকায়। একই পানি খুচরা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ৮ থেকে ৯ টাকা লাভে।
মানববন্ধনে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, "এই লাভ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে মানুষ যখন নানানভাবে বিপদগ্রস্থ, দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ, তখন পানির দাম বৃদ্ধিও মানুষকে বাড়তি চাপে ফেলেছে। এটি অযৌক্তিক এবং ভোক্তা স্বার্থবিরোধী।"
এ সময় সকল ধরনের বোতলজাত পানির অযৌক্তিক মূল্য বাতিল করার দাবি জানায় ক্যাব। এরজন্য ভোক্তা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বন জানায় তারা।
একইসঙ্গে যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হঠাৎ করে বোতলজাত পানির দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে ভোক্তাসাধারণকে কষ্টে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
ক্যাবের তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে ৩৫-৪০ কোটি লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছর ১৫-২০ শতাংশ হারে পানির চাহিদা বাড়ছে।
দেশের বাজারে বর্তমানে মাম, ফ্রেশ, কিনলে, অ্যাকুয়াফিনা, জীবনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানি বিক্রি হচ্ছে।