আজ থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বাইরের দেশগুলোর অংশগ্রহণ কম
বাইরের মাত্র ছয়টি দেশ নিয়েই আজ রবিবার শুরু হচ্ছে ২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলায় তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইরানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, মাসব্যাপী এ মেলায় ১৬-১৮টি বিদেশি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৩৫১টি স্টল থাকবে।
গত বছর মেলায় অংশ নিয়েছিল ১০টি দেশ। দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপাল।
বাইরের দেশগুলোর অংশগ্রহণ কমতে থাকায় মেলার জৌলুস হারাচ্ছে বলে মনে করেন ক্রেতা, দর্শনার্থী ও উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, মূলত উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনের সহজ সুযোগ করে দিতে এবং দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে দিতে এ মেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত।
বাইরের দেশগুলোর অংশগ্রহণ কমার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাসব্যাপী মেলায় অনেকে আসতে চান না। তবে আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে পরিচিত করাটাই অন্যতম লক্ষ্য।
মেলায় বিদেশিদের আনতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটা দেশের মিশনে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের এবার আমরা মেলায় নিয়ে আসব এবং পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বলেন, মেলায় ৩৫১টি স্টল থাকবে। ১৬ থেকে ১৮ টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে ১৭ বার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি বার্ষিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মেলার পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। মেলায় স্থায়ী ভেন্যুর পেছনে নতুন করে ভবন তৈরি হবে। সেখানে মেলায় যারা অংশ নেবে তাদের মালপত্র রাখার জায়গা থাকবে । ডরমিটরি সুবিধা থাকবে। প্রায় ২০০ সিট থাকবে।
এবার বাড়ছে প্রবেশমূল্য
গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় প্রবেশমূল্যও বেড়েছে। এ বছর সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে। গত বছর যা ছিল যথাক্রমে ৪০ ও ২০ টাকা।
ক্রেতা–দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সাথে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি যাত্রীবাহী বাসের ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে বলে।