জলাশয় ভরাট করে বিএডিসির ল্যাব নির্মাণ অবৈধ: হাইকোর্ট
ঢাকার মিরপুরের গৈদারটেক এলাকায় জলাশয় ভরাট করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ল্যাবরেটরি নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জলাশয়ের ভরাটকৃত অংশ ৩ মাসের মধ্যে পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা একটি জনস্বার্থমূলক রিট মামলা নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৮ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন।
বেলা জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত মিরপুর মৌজাস্থিত গৈদারটেক এলাকায় ১১৭ একর জলাশয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ওয়াটার রেগুলেটিং পন্ড হিসেবে নির্ধারিত। ওয়াটার রেগুলেটিং পন্ড ড্যাপে (২০২২-২০৩৫) জলাশয় হিসেবে চিহ্নিত বলে জানায় বেলা।
রায়ে জলাশয় রক্ষা ও সংরক্ষণে এবং বিএডিসি কর্তৃক ল্যাবরেটরি নির্মাণের জন্য জলাশয় ভরাট রোধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে বেআইনি, অননুমোদিত, আইনত কর্তৃত্ববিহীন এবং জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে ল্যাবরেটরি নির্মাণের জন্য ড্যাপে (২০২২-২০৩৫) চিহ্নিত এ জলাশয়ের প্রায় ১২ একর জমি ভরাট করে বিএডিসি। সরকারি সংস্থা কর্তৃক জনগুরুত্বপূর্ণ এ জলাশয় ভরাটের সংবাদ দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ডিএনসিসি উল্লেখিত জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে বিএডিসিকে চিঠি দেয়।
দেশের প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিএডিসির জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে বেলা ২০২৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট দায়ের করলে আদালত ১৩ আগস্ট রুল জারির পাশাপাশি জলাশয় ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।
বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও বিএডিসির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম জহুরুল ইসলাম।