কোটাসংস্কার আন্দোলন: ছাত্রলীগের হামলা, দেশব্যাপী ৩২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত
আমরা সোমবার (১৫ জুলাই)-এর লাইভ আপডেট বন্ধ করেছি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই)-এর লাইভ আপডেট পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
কোটাসংস্কার আন্দোলনকারী, হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল কর্মকর্তাদের প্রদত্ত তথ্যমতে, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় ৩২০ জনের বেশি আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে আহতদের সংখ্যার বিষয়ে বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্যে তারতম্য আছে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসেও আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার সংবাদ জানা গেছে।
সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কারের এক দফা দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর গতকালের (রোববার — ১৪ জুলাই) বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্দোলনকারীরা।
এ দিন বিকেল ৩টার দিক থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রথমে বিজয় একাত্তর হলের ভেতর থেকে তাদের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
সোমবার (১৫ জুলাই) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর প্রতিবেদকদের পাঠানো সংবাদ অনুযায়ী সর্বশেষ পরিস্থিতি:
রাত ৯টা ৫৫ মিনিট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
রাত ৯টা ৪২ মিনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আজকের মতো তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আজ রাতে বলেন, 'কোটার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও এক দফা দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রয়োজন হলে দেশজুড়ে ব্লকেড কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।'
রাত ৯টা ২৫ মিনিট
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে একটি মিছিল বের করেছে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে দাঙ্গা পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছে।
রাত ৯টা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শামসুর রহমান। তিনি জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহতদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আলেবীন সোলায়মান টিবিএসকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫ জন আহত শিক্ষার্থীকে আমাদের এখানে আনা হয়েছে, তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে দু-একজনের অবস্থা গুরুতর।
রাত ৮টা ৩৭ মিনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাধিক বাম ধারার ছাত্র সংগঠনের পাঁচ ছাত্রনেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে কোনোরকম বিরোধ ছাড়াই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা হলেন- বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন, ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সদস্য আল আশরাফ রাফী, ছাত্র গণমঞ্চের আহবায়ক নাসিম সরকার এবং ইব্রাহিম নামের একজন শিক্ষার্থী।
আন্দোলনকারী ছাত্ররা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাবির মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে অতর্কিত হামলা করে এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
রাত ৮টা ৩৭ মিনিট
আরেকটি হামলায় আরো অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষরা রাতভর হলে অবস্থান করবেন। ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পরে আজ রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসবভনে প্রভোস্টদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পরে এসব কথা জানান উপাচার্য।
তিনি বলেন, প্রভোস্টদের জরুরি মিটিংয়ে আমাদের আরো কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রাত ৮টা ১৪ মিনিট
নাম না প্রকাশের শর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, সোমবার বিকেলের পর থেকে আহত অন্তত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টা নাগাদ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ শিক্ষার্থী।
রাত ৮টা
কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর হলের ৪২০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই নেতাকে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাত ৭টা ৫৫ মিনিট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে্ন। সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আলো জ্বালিয়ে কোটাবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত ৭টা ৪৭ মিনিট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এক শিক্ষক ও চার ছাত্রীসহ অন্তত ১০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষকের নাম আওলাদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক।
এর আগে গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
রাত ৭টা ৩৮ মিনিট
রাত ৭টা ১৫ মিনিট
কোটা সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিএল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন। তারা মিছিল নিয়ে নগরীর জিরোপয়েন্ট মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন।
রাত ৭টা ১৪ মিনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে ঢাবির কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের আজ হেরে গেলে চলবে না। একসাথে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনারা অনেকে ক্যাম্পাস এলাকার আশেপাশে আছেন, সেখানে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ করে সংগঠিত হয়ে সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, "ছেলেরা তাদের হলগুলোতে অবস্থান নেবেন, সেখানে যেন কোনো সন্ত্রাসী না থাকে। হল আমাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই মিছিল শুরু করব।"
রাত ৭টা ১০ মিনিট
ছাত্রলীগ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি সভা আহ্বান করেছে হল প্রভোস্টদের কার্যকরী কমিটি।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিট
কোটাসংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের পরে দোয়েল চত্বরে দাঙ্গা পুলিশের শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের কাছাকাছি লাঠিসোঁটা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘিরে রেখেছে ছাত্রলীগ।
সন্ধ্যা ৬টা ২৭ মিনিট
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিচ্ছেন ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগও অবস্থান নিয়েছে ক্যাম্পাসে।
সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিট
ঢাবি ক্যাম্পাসের টিএসসিতে ছাত্রলীগের সমাবেশ শেষ হয়েছে। তবে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে এখনো সেখানে অবস্থান করছে।
সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিট
সরকার কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, "কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সরকার কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবে না।"
সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোটাসংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
৫টা ৫১ মিনিট
শহীদুল্লাহ হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের।
৫টা ৫০ মিনিট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিবেদক।
৫টা ১৭ মিনিট
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটের সামনে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন।
৫টা ১৫ মিনিট
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে কক্সবাজারে আজ বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি শুরু করেন। তারা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন।
বিকেল ৫টা
আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বারডেমসহ নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার ছবি সামনে আসছে।
বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট
কোটাসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান দাবি করেন, ছাত্রলীগের হামলায় এপর্যন্ত ৫০ জন নারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে আজকে ঢাবিতে ১৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই হামলার জবাবে তারা আজকেই ক্যাম্পাসে মিছিল করবেন বলে জানান নাহিদ।
বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট
পূর্ব-ঘোষিত সমাবেশ পালনে ঢাবির টিএসসিতে জড়ো হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সূত্রগুলো, অন্তত ২০ জন আহত শিক্ষার্থীকে সেখানে আনার তথ্য জানিয়েছে।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিট
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিট
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের দখল নিয়ে এর আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
বিকেল ৩টা ৫৯ মিনিট
ছাত্রলীগের ধাওয়ায় পরে পলাশীর দিকে যাচ্ছে ঢাবির কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীদের একাংশ। আরেকটি অংশ জগন্নাথ হল ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছে।
৩টা ৫৫ মিনিট
ভিসি ভবনের সামনে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তাড়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা ফুলার রোড হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের দিকে পালাচ্ছে।
বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিট
সূর্যসেন হল, কবি জসীম উদ্দীন হল, বিজয় একাত্তর হল ও মল চত্বরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কোটাসংস্কার আন্দোলনকারীরা। এখন তারা ভিসির বাসভবনের সামনে জড়ো হচ্ছে।
বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট
হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মী মৎস ভবন থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল বের করেন।
বিকাল ৩টা ৪৩ মিনিট
শিক্ষার্থীরা জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে হকিস্টিক, রড, স্টাম্প নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেয়। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই হেলমেট পরেছিলেন।
বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট
উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাসের মল চত্বর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল, বিজয় একাত্তর হল ও হাজী মুহাম্মদ মহসীন হলে হামলা চালায়।
বিকেল ৩টা ২৬ মিনিট
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
বিকেল ৩টা ২৪ মিনিট
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিজয় একাত্তর হলের সামনের মাঠটি দখলে নেন।
তারা জানান, তাদের কর্মসূচির একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিজয় একাত্তর হলে এক আন্দোলনকারীর ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হামলা প্রতিহত করতে বিশাল মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে এগিয়ে যান। পরে হলের সামনে পৌঁছালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ার মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ বিজয় একাত্তর হলে আশ্রয় নেন।
এদিকে মহসিন হল ও মুধুর ক্যান্টিন থেকেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।