চট্টগ্রামে থানা, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, দলীয় নেতাদের বাড়িতে হামলা; নিহত ১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার পর থেকে চট্টগ্রামের থানা, পুলিশ কার্যালয়, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলা শুরু হয়েছে।
এসময় সহিংসতায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা যায়, বিকাল সাড়ে ৩টার পর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় কয়েক হাজার মানুষ হামলা চালায়। এসময় থানায় ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং অস্ত্র লুট করা হয়।
নগরীর দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরেও হামলা চালানোর চেষ্টা করে জনতা। এসময় পুলিশ গুলি ছুড়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এছাড়া নগর পুলিশের পতেঙ্গা থানা, ইপিজেড থানা, চাঁদগাও, বায়েজিদ থানায় হামলা করা হয়েছে এবং আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের লোহাগাড়া থানায়ও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
তবে বিষয়ে কোনো পুলিশের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, বিকালে নগরীর নিউমার্কেট এলাকার দারুল ফজল মার্কেটের নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
রাজনীতিকদের মধ্যে নগরীর পাথরঘাটায় চট্টগ্রামের রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং বহাদ্দারহাটে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং আগুন দেওয়া হয়। তবে এসময় তারা বাড়িতে ছিলেন না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পরিচালক বিগ্রেডিয়ার তসলীম উদ্দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে বলেন, 'সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন, এখনও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এখনও আহতেরা আসছেন।'