৩৪ ঘন্টা পর চট্টগ্রাম বন্দরে ধর্মঘট প্রত্যাহার প্রাইম মুভার-ট্রেইলার চালকদের
চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার–ঘোষিত মজুরি প্রদানের দাবিতে ডাকা ঘর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন প্রাইম মুভার ও ট্রেইলার চালক ও সহকারীরা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন দুই দিনব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দেয়, যা সোমবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়।
বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা।
শ্রমিক ইউনিয়নটির প্রেসিডেন্ট সলিম খান বলেন, 'বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হবে– উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এমন আশ্বাস দেওয়ার পরে আমাদের ধর্মঘট স্থগিত রেখেছি। তবে এগুলো পূরণ নাহলে, আমরা আবারও ধর্মঘট পালন করব।'
গতকাল থেকে এই ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার এবং আমদানি পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ ছিল। বেসরকারি ডিপো থেকে বন্দরে আসেনি কোনো রপ্তানি পণ্য। একইভাবে আমদানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারও বন্দর থেকে ডিপোতে আসেনি। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
অর্থাৎ, ৩৪ ঘণ্টার জন্য ব্যাহত হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সোমবার সকাল থেকেই পরিবহন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। তিনি জানান, 'গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে শ্রমিক ইউনিয়নের বৈঠক হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে কোন সমাধান আসেনি। তবে আজ মঙ্গলবার বিকেলের আরেকটি বৈঠকের পরে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।'
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব বলেন, 'প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টিইইউ রপ্তানি কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। একইভাবে প্রায় ৮০০ আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়। ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে পণ্য আনা নেওয়া বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে বন্দর থেকে এসব কনটেইনার পরিবহন সোমবার বন্ধ ছিল। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরে মঙ্গলবার থেকে তা আবারো শুরু হয়েছে।'
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের মতে, দৈনিক ৩ হাজারের বেশি আমদানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার ডেলিভারি হয়। ধর্মঘটের মধ্যেও ডেলিভারি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও — পরিবহন কর্মীরা বন্দর থেকে পণ্য নিতে পারেনি, ফলে ৩৪ ঘণ্টার ব্যাকলগ তৈরি হয়।