পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণে নতুন কমিটি
সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য তিন সদস্যের কমিটি পুনর্গঠন করেছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এবং টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমাকে সদস্য করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১২ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয়।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে এখনো বেশ কিছু মৌলিক ধারা অপূর্ণ রয়ে গেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো বাস্তবায়নের দাবি ওঠে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন ২৪ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। তারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে, যার মধ্যে পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠনের প্রস্তাবও ছিল।
পুনর্গঠিত কমিটিকে চুক্তি বাস্তবায়নের পরিবীক্ষণ, তত্ত্বাবধান এবং অস্ত্র সমর্পণসহ ক্ষমা প্রদর্শনসংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয়, নির্দেশনা প্রদান এবং সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার কাজও তাদের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
কমিটিকে শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এই কমিটির সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কমিটি প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করতে পারবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সাচিবিক সহায়তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যয়ভার বহন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।