আইনজীবী আলিফ হত্যামামলায় আটক ১১ জনকে আরও এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/03/alif_0.jpg)
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় আটক ১১ জনকে ঘটনায় সময় ভাঙচুর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর আক্রমণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম আদালত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক এই আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- প্রেমনন্দন দাস (১৯), রানব দাস (২৪), বিদান দাস (২৯), বিকাশ দাস (২৪), রুমিত দাস, রাজ কপূর (৫৫), সমীর দাস (২৫), শিব কুমার দাস (২৩), ওম দাস (২৬), অজয় দাস (৩০) এবং দেবী চরন (৩৬)।
এই ১১ জনকেই আইনজীবী আলিফের হত্যায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তারা সবাই চট্টগ্রাম শহরের বাঁদল রোডের সেবক কলোনির বাসিন্দা। ২৬ জানুয়ারি সেবক কলোনি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তাদের জেলে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সেশনস জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রাইহানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আদেশটি বিষয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন সংক্রান্ত শুনানির সময় কোর্ট চত্বরে পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং ভাঙচুরের মামলায় ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, "আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেছে এবং অভিযুক্তদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আবার জেলে পাঠানো হয়েছে।"
সাবেক ইস্কন নেতা ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ২৫ নভেম্বর ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার হন। কোতোয়ালি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
যখন তাকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল, তখন তার সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) লাঠি ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে।
সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি এই হামলার জন্য ইস্কন সদস্য ও তাদের সমর্থকদের দায়ী করেছে। ঘটনার পর, আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আলিফের ভাই খান-ই আলম আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিস্ফোরক আইনে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে।