আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল কর, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সম্পদ জব্দ কর: জাতীয় নাগরিক কমিটি
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/08/gazipur_protest.jpg)
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং দলটির দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সম্পত্তি জব্দ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে গাজীপুর জেলা ও মহানগরের জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
গতকাল (৭ জানুয়ারি) গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের ওপর সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশটি আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসের খান এবং কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়েবসহ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করার পাশাপাশি আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং গাজীপুরের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আলী নাসের খান বলেন, 'আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দ্রুত বিচার আইনে ফ্যাসিবাদীদের বিচার করতে হবে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ করতে হবে। ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।'
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসন দেরিতে পৌঁছানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবি জানান আলী নাসের খান। এ ছাড়া গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানান তিনি।
এর আগে, শুক্রবার রাতে গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় হামলার শিকার হন বেশ কয়েকজন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে অন্তত তিনজনের অবস্থা গুরুতর মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টার দিকে একটি দল মোজাম্মেলের ধীরাশ্রম বাড়িতে আক্রমণ করে এবং ভাঙচুর করে।
এ সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে মোজাম্মেলের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মাইকিং শুনে আশপাশের অনেকে এসে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা ভাঙচুরকারী কয়েকজনকে মারধর করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও ফুটেজে কয়েকজন লোককে মারধরের দৃশ্য দেখা গেছে।
পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্রের আঘাতজনিত রক্তাক্ত জখম দেখা যায়।
হামলার ঘটনা ও আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান। তবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে—এ বিষয়ে তিনি কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।