গাজীপুরে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, যোগ দিয়েছেন হাসনাত-সারজিস
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/08/gazipur_protest_23134562_11.jpeg)
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ী সড়কে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম কর্মসূচিতে যোগ দেন।
কর্মসূচি থেকে তারা হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আন্দোলনরত নেতা-কর্মীরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটপাটের খবর পেয়ে ছাত্ররা তা বন্ধ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ হামলার প্রতিবাদে শহরের রাজবাড়ীর মাঠ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে হামলার ঘটনায় জড়িত সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, রাসেল এবং আওয়ামী দোসর ও সন্ত্রাসীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, বক্তারা 'খুনি হাসিনা' ও তার সহযোগীদের ট্রাইব্যুনালে বিচার, শুক্রবার রাতের হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে বিচার, উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদের বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে ১৫ জন শিক্ষার্থী ঘটনা কী হয়েছে তা জানার জন্য সেখানে গেলে, ওই বাড়ির আশপাশে লুকিয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রাসেল ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অনুগত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দা, বটি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়।