মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, এমন বাহিনী-কর্মকর্তার সাময়িক বহিষ্কারের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/tajul-islam.jpg)
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিভিন্ন বাহিনী ও যেসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আইন অনুযায়ী ও জাতিসংঘের পরামর্শ অনুসারে তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।'
বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার সম্ভব জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সংস্থা বা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় সম্ভব।
'বাহিনীর মধ্যে থেকে যারা অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচারের উপযুক্ত স্থান এই ট্রাইব্যুনাল। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে নয়,' তিনি বলেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের গণহত্যা সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রতিবেদন আদালতে দলিল হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, 'গণহত্যা, হত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে দলগতভাবে কোনো অপরাধ সংঘটনের ঘটনা প্রমাণিত হলে সেই দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ আছে।'
তবে এর জন্য রাষ্ট্রের উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মিল রয়েছে।
'শেখ হাসিনা ও তার সরকারের লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জাতিসংঘের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক দলিল হিসেবে ব্যবহার করা হবে,' বলেন তিনি।