বদলির জন্য ডিও লেটার আনলে বা অনুরোধ করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে দেখবে মন্ত্রণালয়
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/public_administration.jpg)
সরকারি কর্মকর্তারা বদলির জন্য উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিব ও অন্যান্য পর্যায় থেকে আধা সরকারি পত্র(ডিও) আনলে বা মৌখিকভাবে অনুরোধ করালে সেটিকে আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত এক আদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, 'বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থায় কর্মরত প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য ক্যাডার থেকে আসা উপসচিব এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বদলি বা পদায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম করা হয়ে থাকে। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু কর্মকর্তা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বদলির জন্য উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিব ও অন্যান্য পর্যায় থেকে আধা-সরকারি পত্র বা মৌখিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করছেন। যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ২০ এর পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।'
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ২০ এ- বলা হয়েছে, 'সরকারি কর্মচারী কোনো বিষয়ে তার পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোনো অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো বেসরকারি ব্যক্তির দারস্থ হতে পারবেন না।'
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পরে জনপ্রশাসন ঢেলে সাজাতে ও প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন করতে হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্তু অনেক কর্মকর্তা জনপ্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানছেন না। বদলির আদেশের পর নতুন কর্মস্থলে যোগদান করছেন না।
তারা আগের জায়গায় বা পছন্দের জায়গায় বদলির জন্য বিভিন্ন পর্যায় থেকে ডিও নিয়ে আসছেন। অনেকক্ষেত্রে অনেকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করাচ্ছেন। এতে সব প্রতিষ্ঠানে সমানভাবে জনসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।