জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি এম আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর চৌকস একটি দল অনুষ্ঠানে বিউগল বাজিয়ে রাষ্ট্রীয় স্যালুট পেশ করেন করেন।
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা বইতেও স্বাক্ষর করেন।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় প্রধান হিসেবে, দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় শেখ রেহানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে অন্যান্য রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৫০ বছর আগে যেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই দিন থেকে জাতি আজ ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। এটি বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন।
ত্রিশ লাখ মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর বিজয় দিবস উদযাপনেও যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা।
দিবসটি পালনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবেন এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন।
বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মারক ডাকটিকিটও অবমুক্ত করবেন। সেখানে বাংলাদেশের পর্যটনের ব্র্যান্ড নাম 'মুজিবের বাংলাদেশ' লেখা একটি লোগো উন্মোচন এবং জাতির পিতার জন্মের শতবর্ষ ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন তিনি।
উদযাপনের অংশ হিসেবে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে শপথ পাঠ করাবেন।
এছাড়া, তিনি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিক ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।