মোনালিসা ফিরল, কিন্তু ভক্তদের ভিড় নেই!
পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘর ল্যুভর। ফ্রান্সের রাজধানীর বুকে ৬০ হাজার ৬০০ বর্গফিটের এ জাদুঘর টানা কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের দর্শনার্থীদের জন্য তাদের দুয়ার খুলেছে। অবশ্য দ্বার উন্মুক্ত হলেও, পুরো বিশ্ব লকডাউন থাকায় বিদেশি পর্যটক অনেক কম প্যারিসে। দর্শনার্থী সংখ্যায় স্থানীয়দের ভিড়ও কম। সব মিলিয়ে ভক্তদের স্বাভাবিক ভিড় থেকে নিভৃতেই থাকছেন ল্যুভরের সবচেয়ে বিখ্যাত বাসিন্দা।
মোনালিসা, বিশ্ববাসী এ নামের শুধু একটি ছবিই চেনে। অসাধারণ প্রতিভাবান রেনেসাঁ যুগের চিত্রকর, প্রকৌশলবিদ লিয়েনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা সবচেয়ে রহস্যময় নারী পোট্রেট এটি।
লুভ্যর খুলে যাওয়ায়- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মোনালিসাকে দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। অথচ মহামারির আগের দিনগুলোতে ল্যুভরে এসে মোনালিসার সঙ্গে মুঠোফোনের ক্যামেরায় সেলফি তুলতেই ব্যস্ত থাকতো সবাই।
জাদুঘরটি খোলার কিছুদিন পড়েই যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দর্শনার্থীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে মোনালিসাকে এক নজর করে দেখার প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
গত মার্চে প্রথম লকডাউন করা হয় প্যারিসকে। সে লকডাউন নেই বটে, কিন্তু তারপরও যে কেউ চাইলেই যখন-তখন ল্যুভরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এজন্য আগে থেকে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা বুক দিতে হবে।
তাছাড়া, মুখে মাস্ক পড়তে হবে আবশ্যক নিয়ম হিসেবে। এরপর অন্য দর্শনার্থীদের থেকে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার শর্তেই জাদুঘরের প্রদর্শনীগুলো দেখার সুযোগ পেতে পারেন আপনি।
গত ১৫ জুন থেকেই নির্ধারিত সময় বুক করে ল্যুভর ভ্রমণ করা যাচ্ছে। সময় বেছে নেওয়া যাবে ল্যুভরের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে। দর্শনার্থীদের চাপ কম থাকে এমন অফপিক সময়ে একইদিনে একাধিকবার বুকিং দেওয়ার সুযোগও থাকছে।
লুভ্যরে বিনে পয়সায় ভ্রমণের সুযোগ পান ২৫ বছরের কম বয়সী ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা। আর শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টের মাধ্যমেই টিকিট কাটা যায়।
১১ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পড়তে হবে না। বাকি সকলের জন্যেই এ নিয়ম প্রযোজ্য। প্রবেশপথে সকলকেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে মূল ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হবে।