৮৪৫ কোটি ডলারে হলিউডের বিখ্যাত এমজিএম স্টুডিও কেনার ঘোষণা অ্যামাজনের!
'জেমস বন্ড' থেকে শুরু করে 'রকি' ছবির সিরিজ শুরু হওয়ার আগে দেখা যেত কেশর দোলানো গর্জনরত এক সিংহকে। যা ছিল বিশ্ববিখ্যাত মার্কিনি ফিল্ম স্টুডিও মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের (এমজিএম) প্রতীক। এবার বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত সেই ফিল্ম স্টুডিও। ৮৪৫ কোটি ডলারে তা কিনে নিচ্ছে অ্যামাজন।
এই ঘোষণা করা হয়েছে অ্যামাজনের তরফেই।
১৯২৪ সালে তৈরি হওয়া এই বিখ্যাত সংস্থা অধিগ্রহণ করে মোটের ওপর লাভই হবে অ্যামাজনের বলে মনে করছে ছবি বিশেষজ্ঞ থেকে ট্রেড অ্যানালিস্টদের দল। এছাড়াও অস্কারবিজয়ী বহু ছবি, টিভি শোয়ের জন্যও বিখ্যাত এই স্টুডিও। এবার সেসব চলে যাচ্ছে অ্যামাজনের অধীনে।
বলাই বাহুল্য, অ্যামাজনের ইতিহাসে অন্যতম বড় এই বিনিয়োগ। এর আগে এত বড় অঙ্কের টাকা খুব কম বাণিজ্যিক চুক্তিতেই বিনিয়োগ করেছে অ্যামাজন।
প্রসঙ্গত, 'জেমস বন্ড', 'রকি' সিরিজের ছবিগুলো ছাড়াও 'সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস', 'রেজিং বুল', 'টুয়েলভ অ্যাংরি মেন', 'বেসিক ইন্সটিঙ্কট', 'ক্রিড'-এ মতো বিশ্ববিখ্যাত সব ছবি তৈরির কারিগর এই সংস্থা। এমজিএম-এর সিন্দুকে রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি টিভি শো!
ভুলে গেলে চলবে না সংস্থার ঝুলিতে থাকা ১৮০টি অস্কার এবং ১০০ এমিজ পুরস্কারের কথাও।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও ও অ্যামাজন স্টুডিওজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে অত্যন্ত উচ্চমানের গল্পনির্ভর ছবি ও শো দর্শকদের সামনে পরিবেশন করার সুযোগ বেড়ে গেল।
অন্যদিকে, এমজিএম-এর বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান কেভিন আলরিখ প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন, এমজিএমের প্রতীক যে সিংহ যা হলিউডের স্বর্ণযুগের অঙ্গ, তা বদলাচ্ছে না। সেই ইতিহাস অক্ষুন্ন থাকছে। তাছাড়া এই স্টুডিওর অন্যতম যে লক্ষ্য ছিল, অর্থাৎ দর্শকদের সামনে প্রতিভাধর শিল্পীদের তুলে ধরা- সেই ধারাও বজায় থাকবে বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন তিনি।