যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সুনাক, বরিসের পর সরে দাঁড়ালেন মর্ডন্টও
বরিস জনসনের পর নিজেকে প্রধানমন্ত্রীত্ব পদের লড়াই থেকে সরিয়ে নিলেন পেনি মর্ডান্ট। এতে করে নতুন কনজারভেটিভ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ নিশ্চিত করলেন ঋষি সুনাক। খবর দ্য গার্ডিয়ান-এর।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল নাগাদ সংসদীয় দলের অর্ধেকেরও বেশি সমর্থন নিশ্চিত করেছেন সুনাক। সাবেক এ অর্থমন্ত্রী এর আগে প্রধানমন্ত্রীত্বের পদের লড়াইয়ে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য লড়াইয়ের যোগ্যতা হিসেবে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা নাগাদ ন্যূনতম ১০০ এমপির মনোনয়ন জমাদানের শর্ত ছিল প্রার্থীদের। এর আগের দিন রবিবার রাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেকে লড়াই থেকে সরিয়ে নেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় মনোনয়ন পেলেও দলকে একতাবদ্ধ করার জন্য তা পর্যাপ্ত ছিলনা।
এরপর পেনি মর্ডন্ট সরে দাঁড়ালে একমাত্র প্রার্থী বনে যান সুনাক। তাই নিয়ম অনুযায়ী দেড় লাখ টোরি সদস্যরা চাইলেও তাকে বাধা দিতে পারবেননা।
মাত্র ৪৪ দিন ক্ষমতায় থাকার পর নানা সমালোচনার মুখে গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর কতিপয় কনজারভেটিভ এমপি সুনাকের প্রতি তাদের সমর্থন পরিষ্কার করেন।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সবচেয়ে উচ্চ পদে আসীন হওয়া সুনাকের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি উত্থান। এর আগে তিনি কেবল সাত বছর এমপি এবং মন্ত্রীসভায় দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। করোনা মহামারির ঠিক আগে বরিস তাকে চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেন।
এরপর কর্মসংস্থান রক্ষার্থে সাময়িক ছুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা বিতর্কিত 'ইট আউট টু হেল্প আউট' উদ্যোগ সমর্থন করায় আলোচনায় আসেন সুনাক।
গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর সাবেক বিশ্লেষক সুনাককে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী এমপি হিসেবে ধরা হয়। মন্ত্রী থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসা এবং তার স্ত্রীর কর ফাঁকি বিতর্কের জের ধরে গত প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌঁড়ে প্রার্থীতা প্রায় হারাতে বসেছিলেন সুনাক।