চীনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায় রাশিয়া: শি'কে পুতিন
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময়, বেইজিংয়ের সাথে মস্কোর সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি চীন-রাশিয়া সম্পর্ককে 'ইতিহাসের সেরা' সম্পর্ক বলে অভিহিত করেন। খবর আল জাজিরার।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করছেন, ২০২৩ সালে মস্কোতে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি। যদি সফরটি অনুষ্ঠিত হয়, তবে রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানের মধ্যেই এটি বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে মস্কোর প্রতি সংহতি প্রদর্শন হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যে পুতিন চীনা প্রেসিডেন্টকে নিজের 'প্রিয় বন্ধু' সম্বোধন করে বলেন, "আগামী বসন্তে আমরা মস্কোয় আপনার রাষ্ট্রীয় সফর প্রত্যাশা করছি।"
"এই সফর বিশ্বের সামনে রাশিয়া-চীন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শন করবে," যোগ করেন তিনি।
প্রায় আট মিনিটের বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট চীনের সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার প্রতি বিশেষ জোর দেন। মস্কো এই সহযোগিতাকে আরও গভীর করার লক্ষ্য নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন পুতিন।
প্রতি উত্তরে চীনা প্রেসিডেন্ট শিও রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বে চলমান 'কঠিন' এই পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে চীন।
এদিকে, চলতি মাসের শুরুতেই এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যৌথ নৌ মহড়া পরিচালনা করেছে চীন-রাশিয়া। এই অঞ্চলে 'আক্রমনাত্মক' মার্কিন সামরিক অবস্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই মহড়াটি চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রুশ সেনাপ্রধান।
আর এরই মধ্যে শুক্রবারের পুতিন-শি ভার্চুয়াল বৈঠক ও তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু চলমান রাজনৈতিক বিশ্বের উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ভার্চুয়াল এই বৈঠক নিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, "শি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন, রাশিয়া কখনই কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাধান করতে অস্বীকার করেনি; রাশিয়ার এমন মনোভাবের প্রশংসা করে চীন।"
শি আরও বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি আলোচনার পথ মসৃণ নয়; তবে এ ইস্যুতে চীন তার 'উদ্দেশ্য এবং ন্যায় অবস্থান' সব সময়ই বজায় রাখবে।