‘৩য় বারের মতো মানুষ এনডিএ-তে আস্থা রেখেছে, ঐতিহাসিক মুহূর্ত’: নির্বাচনের ফল নিয়ে মোদি
ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সকে (এনডিএ) টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে তিনি লেখেন: 'মানুষ টানা তৃতীয়বারের মতো এনডিএ-তে তাদের আস্থা রেখেছেন! এটি ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।'
নির্বাচনের ভোট গণনার ফলাফল বলছে, মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না পেলেও নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পার্লামেন্টের মোট আসনের অর্ধেকের বেশিতে জয়ী হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি ২৯০টি আসনে জিতেছে। বিরোধী দলগুলোর জোট ইনডিয়াও এবারের নির্বাচনে দারুণ প্রত্যাবর্তন দেখিয়েছে। সর্বশেষ হিসেবে, লোকসভায় ২৩৪টি আসন জিতেছে এটি।
ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদি 'জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে গত দশকে করা ভাল কাজগুলো চালিয়ে যাবেন' বলে আশ্বস্ত করেছেন। এবারের নির্বাচনে বারাণসী থেকে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।
'আমি আমাদের সকল কর্মীকে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্যও স্যালুট জানাই। তাদের অসাধারণ এ প্রচেষ্টার কথা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না,' টুইটারে লেখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো বারাণসী লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন, তবে ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ভোটের ব্যবধান কমেছে প্রায় তিন লাখ।
ভারতের নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানা গেছে, এ আসন থেকে মোদি ছয় লাখ ১২ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় রাই পেয়েছেন চার লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। বিএসপির আতহার জামাল লারি ৩৩ হাজার ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। এখানে অখিলেশ যাদবের এসপি দলের নেতৃত্বে ইনডিয়া জোট ৪৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির ভরাডুবি হওয়া আরেক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কমপক্ষে ৩১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এছাড়া মহারাষ্ট্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বিরোধীরা। এখানে বিরোধীদলীয় জোট ইনডিয়া ৩০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর এনডিএ পেয়েছে মাত্র ১৭ আসন।