কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫: এশিয়ার সেরা ৫ বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫-এর সেরা ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্যের ৯০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের (মূল ভূখণ্ড) ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার শীর্ষ ২০-এ স্থান পেয়েছে।
তালিকায় শীর্ষে থাকা ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) টানা ১৩ বছরের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এরপরেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
এশিয়ার সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এনইউএস) তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে। এনইউএস-এ ৭০টি ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং ১৪০ টিরও বেশি স্নাতক কোর্স নিয়ে অধ্যয়ন করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ডবল ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালটির ছয়টি অনুষদ রয়েছে যেগুলোতে একটি সেমিস্টার-ভিত্তিক অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হয়। এটি চাইনিজ স্টাডিজ এর মতো স্বল্পমেয়াদি কোর্স ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয়ে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে।
সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ) তালিকারত ১৫তম স্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ স্নাতক প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর উপর ভিত্তি করে বৃত্তি প্রদান করে থাকে।
ইউনিভার্সিটি অফ হংকং (এইচকেইউ) কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ১৭তম স্থানে রয়েছে। এইচকেইউতে ১০টি অনুষদে একাধিক স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরীক্ষা এবং প্রোজেক্ট অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সহ একটি সেমিস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করে পাঠদান করে।
চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় তালিকার ২০তম স্থানে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০টি শাখায় ৮৮টি স্নাতক এবং ৪০টি মাইনর ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
তালিকার শীর্ষে থাকা এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তির জন্য কঠোর মানদণ্ড বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী অ্যাকাডেমিক দক্ষতাকেও অনেক গুরুত্ব দেয়। কখনো কখনো শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষা যেমন জিআরই/জিএমএটি বা ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজন হয়।