বিশ্বের ২য় সর্বোচ্চ ধনী হিসেবে শিগগির বেজোসের জায়গা নিতে পারেন আদানি
ভারতের শীর্ষ ধনী ও আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি খুব শীঘ্রই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী হিসেবে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের জায়গা নিতে পারেন।
দুই শতকোটিপতির মোট সম্পদের পার্থক্য এখন কেবল তিন বিলিয়ন ডলার। এর আগে একদিনেই বেজোস খুইয়েছেন ৯.৮৪ বিলিয়ন ডলার।
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদানি এবং বেজোসের সম্পত্তির পার্থক্য অর্ধেকে কমেছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ পার্থক্য ছিল ৬ বিলিয়ন ডলারের।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রত্যাশার চেয়ে বেশি' মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের ইলন মাস্কসহ জেফ বেজোসের নেট সম্পদের পরিমাণ কমেছে। টেসলার সিইও ইলনের নেট সম্পদ কমেছে ৮.৪ বিলিয়ন ডলার। আর অন্যদিকে ওই একই দিনে ১.৫৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গিয়ে আদানির মোট সম্পদের মূল্য এখন ১৪৭ বিলিয়ন ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে ইলনের নেট সম্পদের মূল্য ২৫৬ বিলিয়ন ডলার, আর বেজোস এবং আদানির যথাক্রমে ১৫০ বিলিয়ন ডলার ও ১৪৭ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে বেজোসের একেবারে কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছালেন আদানি।
ধনীদের তালিকায় বেশ দ্রুতই সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন আদানি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে রিলায়েন্স গ্রুপের মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন আদানি।
এর দুই মাস পরেই তার সম্পত্তি ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং জুলাই মাসে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেইটসকেও পেছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ ধনীর জায়গা করে নেন তিনি।
আগস্টে ফরাসী ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট-এর তৃতীয় স্থান দখল করে আদানী প্রথম এশীয় হিসেবে শীর্ষ তিন ধনীর তালিকায় স্থান পান।
তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দামবৃদ্ধির কারণে চলতি বছরে আদানি গ্রপের চেয়ারম্যানের নেট সম্পদের মূল্য বেড়েছে ৭০.৩ বিলিয়ন ডলার। গত দুই বছরে আদানির শেয়ারের মূল্য ১১২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে আর তার নেট মূল্য ৩৬৫ শতাংশ বেড়ে ৩০.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৪২.৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এর ফলাফল ধনী তালিকায় তার ৪০তম অবস্থানের পরিবর্তে তৃতীয় স্থান অর্জন।