ভোঁদড়ের বন্ধু ওরাংওটাং
বাংলায় ওরাংওটাংকে বলে বনমানুষ। আশেপাশে মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণী বিপদে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার 'মানবিক' গুণ আছে এই প্রাণীর। এবার বেলজিয়ামের এক চিড়িয়াখানায় প্রতিবেশী ভোঁদড়দের সঙ্গে ওদের দারুণ বন্ধুত্বের ছবি দেখা গেল।
দেশটির হাইন্যু প্রদেশে বেসরকারি পাইরি ডেইজা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে চার হাজারেরও বেশি প্রাণীর বসবাস। এদের মধ্যে ওরাংওটাং ও ভোঁদড় পরিবারগুলো কাছাকাছিই থাকে। খবর সিএনএনের।
চিড়িয়াখানার মুখপাত্র ম্যাথু গডফ্রয় জানান, ওরাংওটাংগুলো সারাক্ষণই খেলাধুলা ও দুষ্টুমি করে নিজেদের ও প্রতিবেশীদের চাঙ্গা রাখে।
পাইরি ডেইজারে ২৪ বছর বয়সী ওরাংওটাং উজিয়ানের পরিবারে আরও আছে তার ১৫ বছর বয়সী 'জীবনসঙ্গী' সারি এবং তাদের তিন বছর বয়সী পুত্র বেরানি।
ওদের 'বাড়ি'র পাশেই, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনটির ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে থাকে এশিয়ান ছোট প্রজাতির ভোঁদড় পরিবার।
গডফ্রয় বলেন, নদী থেকে ওরাংওটাংদের বাড়িতে এসে ওদের সঙ্গে খেলাধুলা করে সময় কাটাতে বেশ ভালোবাসে ভোঁদড়গুলো। তার দাবি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই এক মধুর ও জোরাল সম্পর্ক গড়ে তুলেছে উজিয়ান পরিবার।
তিনি বলেন, জল ও স্থলভাগের দুই প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে এমন বন্ধুত্ব প্রাণী নিয়ে গবেষণা করতে কর্তৃপক্ষকে বেশ সাহায্য করছে।
ওই চিড়িয়াখানায় ওরাংওটাং পরিবারটির আগমন ২০১৭ সালে। এখানে দুই সদস্যের আরও এক ওরাংওটাং 'দম্পতি' থাকে। পুরুষটির নাম জেম্পা; নারীটি সিন্টা। তবে ওই পরিবারের চেয়ে বরং উজিয়ান পরিবারের সঙ্গেই ভোঁদড়গুলোর বেশি খাতির।