সুনাক কার? পূর্বপুরুষের আদিনিবাস নিয়ে টুইটারে পাক-ভারত লড়াই!
ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ঋষি সুনাক। এরই সূত্র ধরে সুনাকের পূর্বসূরী নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের মাঝে চলছে 'গর্ব ভাগাভাগি' কিংবা টানাটানি করার প্রতিযোগিতা। খবর ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ-এর।
পত্রিকাটি বলছে, অদ্ভুতভাবে এই নতুন ব্রিটিশ নেতা পূর্বসূরীর বিচারে ভারতীয় এবং পাকিস্তানিও। সুনাকের দাদা-দাদি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের নাগরিক কিন্তু তাদের জন্মস্থান বর্তমান পাস্কিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালায়।
তবে সুনাকের বংশপরিচয় নিয়ে শুধু সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অল্পবিস্তর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোতেই তাদের মতামত জানাচ্ছেন পাকিস্তান ও ভারতের অনেকে।
এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সুনাক পরিবারের খুঁটিনাটি নিয়ে লেখেন। তিনি লিখেছেন, 'সুনাক পরিবার গুজরানওয়ালার (বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থিত) পাঞ্জাবি খাত্রি পরিবারের। ঋষির দাদা রামদাস সুনাক কেরানি চাকরির জন্য ১৯৩৫ সালে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে পাড়ি জমান। ১৯৩৭ সালে কেনিয়াতে যাবার আগে রামদাসের স্ত্রী সুহাগ রাণী সুনাক তার শাশুড়ির সাথে প্রথমবারের মতো দিল্লীতে আসেন।'
টুইটার ব্যবহারকারীটি সুনাক পরিবারের পাশ্চাত্যে অভিবাসন নিয়েও লেখেন এবং ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে ঋষির জন্ম বলে জানান।
তবে এ ব্যাপারে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। কেবল সামাজিক মাধ্যমগুলোতেই চলছে আলাপ-আলোচনা।
আবার কেউ কেউ মনে করেন ৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাকের পূর্বসূরী নিয়ে দাবি তোলা উচিত পাকিস্তানের।
আরেক টুইটার ব্যবহারকারী শাফাত শাহ টুইট করেন, 'আমার মনে হয় ঋষি সুনাকের পূর্বসুরী নিয়ে পাকিস্তানের দাবি তোলা উচিত। কারণ তার দাদা-দাদি ছিলেন গুজরানওয়ালার অধিবাসী যারা কেনিয়া এবং পরবর্তীতে ব্রিটেনে অভিবাসন করেছিলেন।'
প্রধানমন্ত্রীত্বের খবর শুনে আরেকজন ব্যক্তি টুইট করে বসেন, 'ওয়াও! অসাধারণ একটি মুহূর্ত। অবশেষে একজন পাকিস্তানি ইংল্যান্ডের উচ্চতম অফিসে আরোহণ করলেন। বিশ্বাস থাকলে সবই সম্ভব।'
পাকিস্তান-ভারত নিয়ে যখন টানাটানি চলছে, তখন অনেকে মন্তব্য করেছেন নতুন ব্রিটিশ নেতাকে নিয়ে উভয় দেশের গর্ববোধ করা উচিত। ইয়াকুব বাঙ্গাশ নামে এক ব্যক্তি টুইট করেন, 'পাকিস্তান এবং ভারতের যৌথভাবে এই মুহূর্তকে নিয়ে গর্ববোধ করা উচিত।'