সমতায় শেষ যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েলসের রুদ্ধশ্বাস লড়াই
৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতায় ম্যাচ শেষ করেছে ওয়েলস। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে দুই অর্ধে দুই দলের আধিপত্য দেখা যায়। দুই দলের দুই অর্ধের পারফরম্যান্স অনুযায়ী ড্র অনেকের কাছে সঠিক ফলাফল বলেই গণ্য হবে।
আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে গ্রুপ 'বি'র এই ম্যাচে মুখোমুখি হয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েলস। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর এবারই আবার বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে ওয়েলস। জয় দিয়ে উপলক্ষ্যটা স্মরণীয় করে না রাখতে পারলেও এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে রব পেজের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোনো প্রকার পাত্তাই পায়নি ওয়েলস। দুর্দান্ত পাসিং, গতি এবং শারীরিক শক্তিমত্তার প্রদর্শন করে ওয়েলসকে ঠেসে ধরে যুক্তরাষ্ট্র, নিজেদের অর্ধ থেকেই বের হতে হিমশিম খাচ্ছিল গ্যারেথ বেলে'র দল। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে গোলের দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর আক্রমণের চাপ আরও বাড়ায় গ্রেগ বেরহালটারের দল। তেমনই এক আক্রমণ থেকে খেলার ৩৬ মিনিটের মাথায় ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের পাস থেকে অসাধারণ ফিনিশে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে দেন টিমোথি উইয়াহ। গোল করার পরেও আক্রমণের তোড়ে ওয়েলসকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা, কিন্তু প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা।
বিরতির পর কিছুটা গুছিয়ে নেয় ওয়েলস। নিজেদের স্বভাবজাত খেলার চেষ্টা করতে থাকে তারা, দলের অধিনায়ক, তারকা খেলোয়াড় গ্যারেথ বেলে'র সাথে মিলে গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন ওয়েলসের বাকি খেলোয়াড়রা। ওয়েলসের আক্রমণের জোয়ার সামলাতে না পেরে নিজেদের ডি-বক্সে বেলকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন জিমারম্যান, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পেনাল্টি কিক থেকে ওয়েলসকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক বেল। ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে গোল করার আনন্দ উদযাপন করে তারা, সর্বশেষ গোল দেখা অনেকেই পারি জমিয়েছেন পরপারে। তাই ওয়েলসের নতুন প্রজন্মের প্রথম বিশ্বকাপ গোল এটিই।
বেলের গোলের পর দুই দলই জয়সূচক গোল করার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়ায় দুই দলই এক পয়েন্ট করে সংগ্রহ করেছে। যার ফলে 'বি' গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে সমান্তরালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েলস। শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের দুই অর্ধে দুই দলের ভিন্ন রকমের পারফরম্যান্স দেখা গেলেও বল দখলের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ এগিয়েই ছিল। ম্যাচের ৫৯% সময় বল ছিল তাদের পায়ে, শট নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই দলের কেউই কাউকে ছাড় দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ৬ শটের বিপরীতে ওয়েলসের শট ৭ টি।
নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েলসের প্রতিপক্ষ গ্রুপের তলানির দল ইরান।