কথা রাখলো সৌদি আরব, সত্যি চমকে দিলো আর্জেন্টিনাকে
অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়; কিংবা তার চেয়েও বেশি কিছু। উপমা টানতে গিয়ে কোনো শব্দই হয়তো এখন উপযুক্ত মনে হবে না সৌদি আরবের সমর্থকদের কাছে। এ যে স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখা, রূপকথা রাজ্যে রাজপ্রাসাদ গড়া। তিন বছর ধরে অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যেখানে লড়াই করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ, সেই আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই বিজয় কেতন ওড়ালো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটনের তালিকায় নিজেদের নামটি তুলে নিলো তারা।
'সি' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সৌদি আরব। বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতের উপলক্ষ্যটা রাঙিয়ে নিলো তারা। লাতিন অঞ্চলের এই পরাশক্তির বিপক্ষে মিললো প্রথম জয়ও। আগের চার সাক্ষাতের দুটি হার ও দুটি ড্র করে সৌদি আরব। কিন্তু এবার ভিন্ন এক দলকে দেখলো আর্জেন্টিনা, যারা ঘোষণা দিয়ে তাদের চমকে দিলো।
শক্তি-সামর্থ্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাফল্য, অভিজ্ঞতা, সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আর্জেন্টিনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে সৌদি আরব। যদিও এসবের কিছুই মাথায় তোলেননি সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ড। ম্যাচের আগেরদিন তিনি জানান, অবিশ্বাস্য কিছু করে আর্জেন্টিাকে চমকে দিতে চান তারা। তার এই বিশ্বাসকে লালন করেছেন দলের ফুটবলাররা, মাঠে উজাড় করে দিয়েছেন শেষটা। যার ফল আজকের এই মহামূল্যবান জয়।
রেনার্ড বলেছিলেন, ''আমরা অবাক করে দিতে পছন্দ করি যখন তারা আমাদের সম্পর্কে ভুলে যায় এবং সবচেয়ে ছোট দল হিসাবে বিবেচনা করে। আমরা এসব পরোয়া করি না। ফিফা র্যাঙ্কিংকে বিবেচনায় রাখলে এটা যুক্তিযুক্ত।' প্রতিপক্ষ হিসেবে গুরুত্ব না পেয়ে জিদ থেকেই হয়তো এমন কথা বলেছিলেন তিনি। যার জবাবটা মাঠে ঠিকঠাকভাবে দিয়ে দিলেন তার শিষ্যরা।
অভিজ্ঞতা, ঐতিহ্য, রেকর্ড; এমনকি মেসিকেও নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না রেনার্ড। ফরাসী এই কোচ বলেছিলেন, 'সে ফুটবলের কিংবদন্তি। তবে আর্জেন্টিনার অন্য খেলোয়াড়দের ভুলে যেতে পারি না আমরা। কারণ তারা সবাই উচ্চমানের। বিশ্বকাপে খেলা এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বা তার বিপক্ষে খেলতে পারা সম্মানের।'