১ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ কর্তনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দিল ওপেক প্লাস
তেলের সরবরাহ কমালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে হবে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন কড়া হুঁশিয়ারির পরেও সরবরাহ কর্তনে সম্মত হয়েছে ওপেক প্লাস জোট। গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরব এবং রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোটটি এই ঘোষণা দেয়।
এর আওতায় জোট সদস্যরা বিশ্ব বাজারে তাদের মোট সরবরাহের এক পঞ্চমাংশ কমাবে।
এসময় দেওয়া এক বিবৃতিতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শীর্ষ জোট বহির্ভূত জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশগুলোও নিজেদের সরবরাহ কর্তন করে- আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর উত্থানে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, এমন আশা প্রকাশ করা হয়। খবর রয়টার্সের
তবে ওপেক প্লাস জানিয়েছে, সরবরাহ কর্তনের আওতা বৃদ্ধির বিষয়টি মেক্সিকোর সমর্থনের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশটি ২০১৬ সালের তথ্যানুসারে বিশ্বের ১৭তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদক।
এর আগে মেক্সিকো ওপেকের সরবরাহ কর্তনের পরিকল্পনায় যোগ দিতে দ্বিধা প্রকাশ করে। তবে আজ শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে ওপেক প্লাস জোটের জ্বালানি মন্ত্রীরা একটি ঐক্যবধ্য অবস্থান তৈরির জোর প্রচেষ্টা চালাবেন।
ওপেক প্লাস দেশগুলো মোট ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ব্যারেল সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এটি বিশ্বের মোট দৈনিক সরবরাহের ১০ শতাংশ। এছাড়াও, মেক্সিকো সহ জোট বহির্ভূত কিছু জ্বালানি উৎপাদক দেশ আরও ৫০ লাখ ব্যারেল সরবরাহ কর্তন করে- তেলের দরপতন বন্ধে সহায়তা করবে, বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের বিশ্ব মহামারির জেরে বিগত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় মূল্য সংকোচন লক্ষ্য করেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, যানবাহন চলাচল এবং বৃহৎ শিল্পাঞ্চল লকডাউনের আওতায় পড়ায় জ্বালানির বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৩ কোটি ব্যারেল কমেছে। বিশ্ববাজারে এখন যা সরবরাহ আছে এটি তার ৩০ শতাংশ। তাই দেড় কোটি ব্যারেল সরবরাহ কর্তনের পরেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।