উজ্জীবিত আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অঘটন ঘটাতে পারবে অস্ট্রেলিয়া?
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। 'সি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় 'ডি' গ্রুপের রানার্স-আপ অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় কাতারের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামের সকারুজদের বিপক্ষে শেষ আটে উঠার লড়াইয়ে নামবেন মেসি-আলভারেজরা।
দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক কাতার বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স-
আর্জেন্টিনা
'সি' গ্রুপ থেকে ২ জয়, এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে সৌদি আরবের কাছে হেরে গেলেও পরের দুই ম্যাচে মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে লিওনেল স্কালোনির দল।
গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার ফলাফল-
সৌদি আরব ২-১ আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনা ২-০ মেক্সিকো
আর্জেন্টিনা ২-০ পোল্যান্ড
২ গোল করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল করে আর্জেন্টিনার ধরে প্রাণ ফেরানো মেসির দিকে নক-আউটেও তাকিয়ে থাকবে আকাশি-নীল বাহিনী।
অস্ট্রেলিয়া
'ডি' গ্রুপে কাগজে-কলমে সবথেকে কম শক্তির দল ছিল অজিরা। অথচ সেই তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোয় উঠে। প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তো অস্ট্রেলিয়ার কপালে অশনি সংকেতই দেখছিলেন সবাই। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে পরপর দুই ম্যাচে তিউনিশিয়া এবং ডেনমার্ককে হারিয়ে নক-আউটে উঠে ক্যাঙ্গারুরা।
গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার ফলাফল-
ফ্রান্স ৪-১ অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া ১-০ তিউনিশিয়া
অস্ট্রেলিয়া ১-০ ডেনমার্ক
অস্ট্রেলিয়ার মেথিউ লেকি ডেনমার্কের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া গোলটি করেন।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়া এর আগে কখনো একে অপরের মুখোমুখি হয়নি।
আর্জেন্টিনার শক্তি এবং দুর্বলতা-
সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর লিওনেল স্কালোনির দলের রসায়ন নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন জেগেছিল। খেলোয়াড়রা সৌদি আরবকে হালকাভাবে নিয়েছেন কিনা সেই ব্যাপারেও কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে নিজেদের আসল রূপে ফেরে আলবিসেলেস্তেরা। বিশেষ করে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ছন্দময় ফুটবল দেখায় আর্জেন্টিনা।
চোটের কারণে দি মারিয়ার খেলা নিয়ে শংকা থাকলেও লিওনেল মেসি-হুলিয়ান আলভারেজদের নিয়ে ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নামবে আর্জেন্টিনা।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তি এবং দুর্বলতা-
তিউনিশিয়া এবং ডেনমার্কের বিপক্ষে দুর্দান্ত রক্ষণ দেখিয়েছে অজিরা। ফ্রান্সের কাছে ৪ গোল খেয়েও দমে না গিয়ে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েই শেষ ষোলোয় এসেছে তারা। যদিও আর্জেন্টিনার সাথে ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো তুলনা হয় না সকারুজদের, কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ যেরকম চমকের পর চমক দেখিয়ে চলেছে তাতে একেবারে নির্ভার হয়েও মাঠে নামার সুযোগ নেই মেসিদের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে বড় দুর্বলতা তাদের মাঝমাঠ, বল দখলে রাখতে না পারা এবং আক্রমণে খুব বেশি বলের জোগান দিতে না পারাটা ভোগাতে পারে গ্রাহাম আর্নল্ডের দলকে।