চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের লাইফলাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "বন্দর সচল রাখতে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। বন্দরে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিয়ে বিবেচনা করবে। সংকট মুহূর্তে প্রণোদনা নয়, দায়িত্বের বিষয়। এই পরিস্থিতির জন্য বিশ্বের কেউ প্রস্তুত ছিল না।"
সাংবাদিকদের উদ্দেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, "যদিও পাঠক নেতিবাচক সংবাদের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে তবুও গত ২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকরা সাহস দিয়েছেন। ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব সচেতনভাবে এ সংকট মোকাবেলা করা।"
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃর্নোঙরে ৩৩টি জাহাজ অপেক্ষমাণ আছে। ওই জাহাজগুলোতে আছে ৩৬ হাজার কনটেইনার। বন্দর থেকে অফডকে কনটেইনার পাঠিয়ে জাহাজের কনটেইনার নামাতে হবে।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে আমরা গণমাধ্যমের সাপোর্ট পেয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতেও সচল আছে চট্টগ্রাম বন্দর। চলমান সমস্যা চিহ্নিত করে তা অপসারণের চেষ্টা করেছি।কনটেইনার জট নিরসনে সব পণ্য অফডকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুমোদন পেতে যাচ্ছি।"
তিনি বলেন, "আজ বিকেলের মধ্যেই এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে ১৮ হাজার কনটেইনার অফডকে নেওয়া যাবে।"
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "আমাদের প্রধান লক্ষ্য বন্দরের জট কমানো। বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ আমদানিকারকদের স্টোর রেন্ট মওকুফের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব কনটেইনার জাহাজ এসেছে এ সুযোগ পেয়েছে।"
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ, বন্দরের সদস্য জাফর আলম, বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।