রিসাইকেল করা হবে জানানো জুতো খুঁজে পাওয়া গেল ইন্দোনেশিয়ার সেকেন্ড-হ্যান্ড মার্কেটে
ইন্দোনেশিয়ার বাতাম দ্বীপের এক সস্তা বাজারের মধ্যে সেকেন্ড-হ্যান্ড জুতা বিক্রি করা এক দোকান থেকে লোকেশন ট্র্যাকারের তীক্ষ্ণ সংকেত ভেসে আসতে লাগলো। রয়টার্সের এক প্রতিবেদক পুরনো জুতার স্তূপ হাতড়িয়ে সংকেত দেওয়া জুতা খুঁজতে লাগলেন। অবশেষে পাওয়া গেল নাইকির দৌড়ানোর জুতাটিকে, যার সোলের নিচে লুকিয়ে রাখা আছে এক ট্র্যাকিং ডিভাইস।
এই জুতা স্থল আর জলপথ পাড়ি দিয়েছে, পেরিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সীমানা এবং শেষমেশ পৌঁছিয়েছে এখানে, যেটি কোনোভাবেই এই জঞ্জালের মধ্যে আসার কথা ছিল না।
জুতা খুঁজে বের করার পাঁচ মাস আগে, মার্কিন পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি ডো ইঙ্ক এবং সিঙ্গাপুরের সরকারের যৌথ উদোগে পরিচালিত এক রিসাইক্লিং প্রোগ্রামে এই জুতাটিকে দান করে রয়টার্স। অনলাইনসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে এক ভিডিও মাধ্যমে প্রচার করা হয়, এই উদ্যোগের মাধ্যমে জুতার নিচে থাকা রাবারের সোল সংগ্রহ করে সেগুলোকে পিষে স্পঞ্জের মতো করে নতুন দৌড়ানোর জুতায় ব্যবহার করা হবে।
প্লাস্টিক এবং অন্যান্য সিনথেটিক তৈরির জন্য কেমিক্যাল উৎপাদন করা প্রতিষ্ঠান ডো এর আগেও বেশ কিছু রিসাইকেল প্রোগ্রামের ঘোষণা দিলেও সেগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়িত করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রয়টার্স জুতা দান করে দেখতে চেয়েছিল এটি কি আদৌ সিঙ্গাপুরের কোনো অ্যাথলেটিক জুতায় প্রতিস্থাপন হওয়ার জন্য কোনো স্থানীয় রিসাইকেল কারখানা পর্যন্ত পৌঁছাবে?
সেটি দেখতেই সংবাদ প্রতিষ্ঠানটি একটি নীল নাইকি জুতার একেবারের ভেতরের সোলে একই ব্লুটুথ ট্র্যাকার স্থাপন করে ঢেকে দেয়। এরপর স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি জুতার অবস্থান কোথায় তার অনুসন্ধান শুরু হয়।
কয়েক সপ্তাহের মধেই, জুতাটি এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নগর-রাষ্ট্রটি থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া শুরু করে এবং ইন্দোনেশিয়ার বাতাম দ্বীপে পৌঁছায়। প্রথম জুতাটি ভুল জায়গায় পৌঁছেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আরও দশটি জুতা দান করা হয় এই প্রকল্পের জন্য স্থাপন করা বাক্সে। এবং যা ভাবা হয়েছিল তা-ই। রয়টার্সের দান করা ১১টি জুতার কোনোটিই সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের দৌড়ানোর জুতায় প্রতিস্থাপিত হয়নি।
এর বদলে সবগুলো ট্র্যাককৃত জুতাই পড়েছে ইয়ক ইম্পেক্স লিমিটেড নামের এক সিঙ্গাপুরীয় সেকেন্ড-হ্যান্ড পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হাতে। কোম্পানিটিও স্বীকার করে নিয়েছে তাদের কাছেই জুতাগুলো গিয়েছে। কোম্পানিটির লজিস্টিক ম্যানেজারের মতে ডোনেশন বাক্স থেকে পাওয়া জুতাগুলোকে এক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি তাদের ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে ভাড়া করেছে।
তবে বাস্তবে রয়টার্সের জুতাগুলোর ক্ষেত্রে তা হয়নি। দশটি জুতাই ডোনেশন বিন থেকে প্রথমে রপ্তানিকারক কোম্পানিটির হাতে পড়েছে এবং তারপর আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার এমাথা ওমাথা ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে জুতাগুলোকে ট্র্যাক করে রয়টার্সের সাংবাদিক নীল নাইকি জুতাজোড়াসহ তিন জোড়া জুতা উদ্ধার করতে পেরেছেন। উদ্ধারকৃত জুতাগুলো পাওয়া গিয়েছে রাজধানী জাকার্তার জনবহুল বাজারে, আর সিঙ্গাপুরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বাতাম দ্বীপে। আরও চার জোড়া জুতা ইন্দোনেশিয়ার এমন প্রান্তে পৌঁছিয়েছে যে সেগুলো সাংবাদিকের পক্ষে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বাকি চার জোড়ার তিনটির ট্র্যাকার ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানোর পরই সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
শেষ জোড়া জুতাটি সিঙ্গাপুরেই থেকে যায়, তবে ডো এবং সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ যে প্রতিজ্ঞা করেছিল সেটি জুতাজোড়ার ভাগ্যে জোটেনি। সাদা রঙের রিবক জুতাজোড়াটি সিঙ্গাপুরের এক আবাসন প্রকল্প চলা জায়গায় চলে যায়। সেখানে গেলেও জুতাজোড়ার অবস্থান শণাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এখনো সেখান থেকে জুতার ট্র্যাকারটি সংকেত দিয়ে যাচ্ছে।
রয়টার্সের এই অনুসন্ধান প্রকাশ হওয়ার পর ডো কোম্পানি এ বছরের জানুয়ারির ১৮ তারিখ এ প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান: সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষথান স্পোর্ট সিঙ্গাপুর, ফরাসি স্পোর্টস পণ্য রিটেইলার ডিক্যাথলন এসএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, আলবা ডব্লিউঅ্যান্ডএইচ স্মার্ট সিটি লিমিটেড, একটি স্থানীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এবং ডোনেট করা জুতা শ্রেড করা প্রতিষ্ঠান বিটি স্পোর্টসকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
ফেব্রুয়ারির ২২ তারিখে ডো রয়টার্সকে ইমেইলের মাধ্যমে জানায় যে তাদের অনুসন্ধান শেষ হয়েছে এবং এরপর ইয়ক ইম্পেক্সকে প্রকল্পের চুক্তি থেকে বাতিল করা হয়েছে, যেটি মার্চের ১ তারখ থেকে কার্যকর হবে। তবে ডো ব্যাখ্যা করেনি কেন ব্যবহৃত কাপড় রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের সাথে জড়িত। কোম্পানিটি জানিয়েছে জুতাগুলো সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তারা নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছে।
ডো তাদের বিবৃতিতে জানায়, "প্রকল্পের ডোনেট করা কোনো জুতা অনুমোদন ছাড়াই সরিয়ে নেওয়া এবং সেগুলো রপ্তানি করা প্রকল্পের অংশীদাররা কোনোভাবেই ক্ষমা করবে না এবং তারা জুতা সংগ্রহ এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার সততা রক্ষায় পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এর পরদিনই রয়টার্সের প্রতিনিধিরা ইয়ক ইমপেক্সের অফিসে যায় এবং প্রকল্প থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া সম্পর্কে তাদের মন্তব্য জানতে চায়। কোম্পানিটির হিসাবরক্ষক জুন পেহ রয়টার্সকে কোনো কারণ উল্লেখ না করেই জানায়, এক বছরের চুক্তির পর কোম্পানিটি প্রকল্প থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নিচ্ছে।
জানুয়ারিতেই ডিক্যাথলন রয়টার্সকে জানায় তারা প্রকল্প থেকে পাওয়া কোনো জুতার রপ্তানির অনুমোদন দেয়নি। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং বিটি স্পোর্টস এ ব্যাপারে কোনো উত্তর দেয়নি। জার্মান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি আলবা এবং সিঙ্গাপুরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ডব্লিউঅ্যান্ডএইচের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত আলবা-ডব্লিউঅ্যান্ডএইচ। এই দুটো কোম্পানিও কোনো প্রত্যুত্তর দেয়নি।
রয়টার্স ছয় মাস ধরে ১১টি জুতাকে ট্র্যাক করে। সবগুলো জুতাই সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে রাখা ভিন্ন ভিন্ন ডোনেশন বিনে ১৪ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাখা হয়। নমুনার আকার ছোট হলেও একটি জুতাও সিঙ্গাপুরের কোনো রিসাইকেল কোম্পানির কারখানায় পৌঁছায়নি।
বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি অনুযায়ী, ডো কোম্পানির মতো কেমিক্যাল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তাদের রিসাইকেল প্রকল্পগুলো সম্পর্কে ভুল বা অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে, যাতে করে তারা নিজেদেরকে একটি 'পরিবেশ সচেতন' প্রতিষ্ঠান হিসেবে একটি ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করতে পারে। তাছাড়া একইসাথে তারা এগুলোর মাধ্যমে ফাস্ট ফ্যাশন কিংবা সিঙ্গেল-ইউজ প্যাকেজিংয়ের জন্য উৎপাদন করা প্লাস্টিক নিয়েও যেন কোন অতিরিক্ত বাধার সম্মুখীন না হয় তাও ঠিক রাখে।
ইন্দোনেশিয়াতে ডোনেট করা জুতাগুলো রপ্তানি করাও অবৈধ বলে জানান দেশটির এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা। তার মতে, এ ধরনের সেকেন্ড-হ্যান্ড কাপড়গুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ পোশাক উৎপাদন খাতের জন্যেও বিপদজনক। তাছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এমনিতেই দেশটির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার ওপর এই বর্জ্যগুলো সেই বোঝা আরও বাড়িয়েছে।
এদিকে ডো রয়টার্সকে জানিয়েছে তাদের সিঙ্গাপুরের জুতা প্রকল্পের উন্নতি হচ্ছে। পশ্চিম সিঙ্গাপুরের জুরং জেলায় একটি স্পোর্তস ফ্যাসিলিটি সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে, যেটি রিসাইকেলকৃত জুতার কাঁচামাল ব্যবহার করবে। একইসাথে কালাং ফুটবল হাব নামের একটি স্থানীয় ফুটবল কমপ্লেক্সের রানিং ট্র্যাক রিসাইকেল করা জুতা দিয়ে বানানো হয়েছে, যেটি সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে প্রথম। ডো জানিয়েছে, ১০ হাজার কিলোগ্রাম সমান জুতার কাঁচামাল থেকে এটি বানানো হয়েছে। দুটি জায়গাই নির্মাণাধীন থাকার কারণে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত না হওয়ায় রয়টার্স এ তথ্য যাচাই করতে পারেনি।
এই প্রকল্পে কতগুলো জুতা সংগ্রহ করা হয়েছে কিংবা কতগুলো জুতা তাদের হাতে গিয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। জুতাগুলো রপ্তানি হয়নি, বা অন্য কেউ নিয়ে গিয়ে পুনরায় বিক্রি করা হয়নি তা নিশ্চিতের জন্য কী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও কোনো নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেনি ডো।
রিসাইকেল প্রকল্পের ভাঁওতাবাজি
ডো কোম্পানির প্রথম রিসাইকেল প্রকল্প যে এটিই ছিল, তা নয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে তারা একটি প্রকল্পের ঘোষণা যেয়, যেটি অনুযায়ী তারা প্লাস্টিক বর্জ্যকে ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর করবে। পরে দেখা যায় তারা একটি সিমেন্ট উৎপাদনকারী কারখানার জ্বালানি হিসেবে প্লাস্টিক বর্জ্যকে পোড়াচ্ছে। ঐ সময়েই ডো-এর এক কর্মকর্তা বিবৃতিতে জানায়, তারা প্লাস্টিক বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে মূল্যবান পণ্য উৎপাদন করছেন।
একই বছরে রয়টার্স ডো কোম্পানির আরেকটি প্রকল্পের সন্ধান পায় ভারতে, যেটি গঙ্গা নদী থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ক্লিন ফুয়েলে রূপান্তর করবে। তবে প্রকল্পটির যন্ত্রপাতি নিয়মিত নষ্ট হতে থাকায় প্রকল্পটী বন্ধ হয়ে যায় বলে জানায় তারা। ভারতের প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে ছিল তেল ও কেমিক্যাল শিল্পের সাথে জড়িত থাকা বড় বড় প্রতিষ্ঠানদের সহযোগিতায় তৈরি অ্যালায়েন্স টু এন্ড প্লাস্টিক ওয়েস্ট (এইপিডব্লিউ) নামের একটি নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে তারা জানায়, কোভিড মহামারির কারণে তারা প্রকল্পটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
গ্রিনপিস এবং ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিকের মতো পরিবেশবাদী সংগঠন অভিযোগ জানায়, নতুন নতুন রিসাইকেল প্রকল্প ঘোষণা করা কিংবা প্লাস্টিক ব্যাগকে ক্লিন ফুয়েলে রূপান্তর করার মতো বিষয়গুলো মূলত জনগণকে ধোঁকা দেওয়া এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের ভ্রান্ত নিরাপত্তার জন্ম দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়।
প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান দ্য লাস্ট বিচ ক্লিনআপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যান ডেল মন্তব্য করেন, পেট্রোকেমিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বার্ষিক আয় এবং লাভ নিয়ে যেরকম খোলামেলা ডেটা প্রকাশ করে, তাদের পরিবেশ নিয়ে কাজ করা প্রকল্পগুলো সম্পর্কেও একইরকমভাবে তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ।
২০১৩ সালে জার্নাল অফ কনজ্যুমার সাইকোলজিতে প্রকাশিত হওয়া এক নিবন্ধ থেকে জানা যায় যে, ভোক্তারা যখন জানতে পারে যে, তাদের ভোগ করা পণ্য পরবর্তীতে রিসাইকেল করা হবে, তখন সে পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়িয়ে দেয়। জ্যান জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো এজন্যই ভোক্তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য বানোয়াট রিসাইকেল প্রকল্প প্রদর্শন করে।
গত বছরের জুলাই মাসে ডো মালয়েশিয়াতেও একই ধরনের জুতা রিসাইকেল প্রকল্প চালু করে। এ উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে তারা সিঙ্গাপুরের প্রকল্পের সাফল্য উল্লেখ করে। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে ডো-র এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপে জাঁকজমকভাবে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে 'সেরা টেকসই প্রকল্প' হিসেবে পুরস্কার জিতে নেয় ডো-এর প্রকল্পটি।