সাধারণ নাগরিকের মতো চলাফেরা করতে পারবো: সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সকালে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন।
একই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর দায়িত্ব পালন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নিয়েছেন মো. আবদুল হামিদ।
দুপুরে বঙ্গভবনের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের উদ্দেশে রওয়ানা দেন আবদুল হামিদ; এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম।
বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে ও বিউগলের করুণ সুর বাজিয়ে আবদুল হামিদকে বিদায় দেয়া হয়।
বিদায়বেলায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল হামিদ।
সদ্য সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমি তো এখন রিটায়ার্ড হয়ে গেছি। দোজ হু আর টায়ার্ড, দে গো ফর রিটায়ার্ড। এখন বাড়ি বসে থেকে কিছু লেখালেখি করতে পারি। কিন্তু সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার পরিকল্পনা নেই।"
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা পাকিস্তানেও কেউ এতদিন দায়িত্ব পালন করেননি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, "এ উপমহাদেশে আমার মনে হয় আমিই সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কারণ, ১০ বছর ছাড়াও আরও বোধ হয় ৪১ দিন বেশি আছে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়।"
তার এ প্রস্থানকে আনন্দের উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, "আপনার শুনেছেন, অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।"
নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে আবদুল হামিদ বলেন, "ওনার সাংবিধানিক দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন- এটাই সারা জাতির এবং আমার প্রত্যাশা।"
২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল আবদুল হামিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৫৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন মো. আবদুল হামিদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না।