অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আঁখির মৃত্যু: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
রাজধানীর গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে 'প্রতারণা ও অবহেলায়' মৃত্যুবরণ করা মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) ও তার নবজাতক সন্তানের মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
"অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) মারা গেছেন বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে", বলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান।
সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত আঁখি ও তার নবজাতকের মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ডা. কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান।
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি স্বজনরা গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যাবার কথা জানান। সেখানে আঁখির বাবার কবরের পাশে তাদের দাফন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান আঁখির চাচা শফিকুর রহমান।
এর আগে মরদেহ বুঝে নিতে সোমবার সকালে মর্গে হাজির হন পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা আবারও দাবি তুলেন, অভিযুক্ত ডা. সংযুক্তা সাহা সহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির। পাশাপাশি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেন তারা।
গত রোববার সন্ধ্যায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
গত ৯ জুন রাত ১২টার দিকে প্রসব বেদনা উঠলে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীন মাহবুবা রহমান আঁখিকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে সময় ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং অপারেশন থিয়েটারে কাজ করছেন। নরমাল ডেলিভারির চেষ্টার পরও তা না করানো গেলে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আঁখির সিজারিয়ান ডেলিভারি করা হয়। ডেলিভারির পর আইসিউতে মারা যায় নবজাতক। এ ঘটনার পর ১০ জুন আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে ল্যাবএইড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই ১৮ জুন মারা যায় আঁখি।