চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: হামলার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে দুই দফা হামলা ও মারধরের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী।
আরমান আলীর অভিযোগ, আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা নগরের ফইল্যাতলী বাজারে অবস্থিত প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ডা. ফজলুল হাজারা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে তার ওপর দুই দফা হামলা করেছেন।
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে আরমান আলী বেলুন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরমান আলী বলেন, প্রাণহরি বিদ্যালয় থেকে কোনোভাবে বেঁচে তিনি ডা. ফজলুল হাজারা ডিগ্রি কলেজে যান। সেখানে আরেক দফায় হামলা হয়। হাত ধরে টানাটানি করেন আ. লীগের নেতা-কর্মীরা। শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন। মুঠোফোন কেড়ে নেন। পরে পুলিশ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
তিনি জানান, ১০টি কেন্দ্রে তিনি এজেন্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু, কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। সকালেই সবাইকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বয়কট করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং পাহাড়তলী থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংবাদিকদের কাছে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোট ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৯৫টি সাধারণ, বাকি ৫৯ কেন্দ্র 'গুরুত্বপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে।
ভোটের দিন চার প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের চারটি টহল দল ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
এ উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ছয়জন। ধারণা করা হচ্ছে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল আলমের মধ্যে।