ভারতের অর্থনীতিতে ২২০ বিলিয়ন রুপি যোগ করতে পারে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ব্যাংক অভ বারোদার অর্থনীতিবিদদের হিসাব বলছে, আয়োজক দেশ ভারতের অর্থনীতিতে ২২০ বিলিয়ন রুপি বা ২.৬ বিলিয়ন ডলার যোগ করতে পারে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
মধ্য-নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ক্রিকেট বিশকাপে। আশা করা হচ্ছে, খেলা দেখতে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শক হাজির হবে মাঠে। মোট ১০টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। অর্থনীতিবিদ জাহ্নবী প্রভাকর ও অদিতি গুপ্তা লিখেছেন, এই শহরগুলোর ভ্রমণ ও আতিথেয়তা খাত লাভবান হবে সবচেয়ে বেশি।
ভারতে তিন মাসব্যাপী উৎসবের মৌসুমও শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দুই অর্থনীতিবিদ লিখেছেন, এর ফলে বিশেষ করে রিটেইল খাত লাভবান হবে বেশি; কারণ বহু মানুষ 'আবেগ থেকে পণ্য কিনবে'।
২০১৯ সালে মোট ৫৫২ মিলিয়ন দর্শক বিশ্বকাপ দেখেছিল। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, টেলিভিশন ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে ভারত থেকে এরচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শক এবারের আসর দেখবে। এর ফলে টিভি স্বত্ব ও স্পন্সরসশিপ আয় থেকে মোট ১০৫ বিলিয়ন থেকে ১২০ বিলিয়ন রুপি আয় হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, উৎসবের মৌসুমে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্রিকেট বিশ্বকাপ আসর রিটেইল খাতকে বড় সুফল এনে দেবে।
তবে বিশ্বকাপের কারণে বেড়ে যেতে পারে মূল্যস্ফীতিও। বিমানের টিকেট, হোটেল ভাড়া এ সময় অনেক বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে দশ আয়োজক শহরের অনানুষ্ঠানিক খাতের সার্ভিস চার্জও অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
সবমিলিয়ে অক্টোবর ও নভেম্বরে ভারতের মূল্যস্ফীতি ০.১৫ শতাংশ থেকে ০.২৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত সরকারের রাজকোষের স্বাস্থ্য বাড়াতেও সাহায্য করবে। কেননা এ সময় টিকেট বিক্রি, হোটেলের পণ্য ও সেবা, রেস্তোরাঁ এবং খাবার ডেলিভারি থেকে ভারত সরকারের কর আদায় বাড়বে।