কুমিল্লায় হামলায় আহত চিকিৎসক জহিরুল মারা গেছেন
কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্সে সন্ত্রাসী হামলার শিকার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
গত শনিবার (২১ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় শাপলা টাওয়ারে পরিচালনা কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে ডা. জহির ও তার স্ত্রী হিমিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় ডা. জহিরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে ঘটনার দিন রাতে ডা. জহিরের স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমি বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়া ওরফে পাপ্পু ও তার স্ত্রী সুমী, ছেলে আরহাম ও আহনাফ এবং সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় আটক পাপ্পুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এদিকে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা.আবদুল বাকী আনিস, সাধারণ সম্পাদক ডা.আতাউর রহমান জসীম, স্বাচিপ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা.মোরশেদ আলম, বিএমপিএ'র সভাপতি ডা.একেএম আবদুস সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌফিকুন্নবী খান লিটন।