বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত মনে করছেন শান্ত
সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়ে চরম হতাশার সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। প্রত্যাশার উল্টো পথে হেঁটেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৯ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ পাঁচটি আসরের মধ্যে এটাই তাদের সবচেয়ে হতাশার বিশ্বকাপ। আগের চারটি আসরেই তিনটি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, এবার তা নেমে এলো দুইয়ে।
বিশ্ব আসরে এমন ব্যর্থতা গেলে সাধারণত সব ঢেলে সাজানো হয়। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে নির্বাচক, অধিনায়ক; সবখানেই আসে পরিবর্তন। বাংলাদেশ দলে সেই পরিবর্তনের আলোচনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের পর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলো নাজমুল হোসেন শান্তকে। সাকিব আল হাসানের অবর্তমানে এই ম্যাচে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানালেন, বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত মনে করেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। পুনেতেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে চোটের কারণে খেলা হয়নি সাকিবের। সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান শান্ত। শেষ ম্যাচেও একইভাবে নেতৃত্ব ওঠে তার কাঁধে। তার নেতৃত্বে দুটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে অনেক কিছু শিখেছেন, যা ভবিষ্যতে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
নেতৃত্বের প্রশ্নে শান্ত বলেন, 'দুটি ম্যাচেই জিততে পারিনি (বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে)। কিন্তু অনেক কিছুর শেখার ছিল। দুটি বড় দলের বিপক্ষে অনেক চাপ ছিল। আমার মনে হয়, অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে। বেশ কয়েকদিন ধরে তো করছি (অধিনায়কত্ব)। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে আমি প্রস্তুত। যদি সুযোগ আসে, অবশ্যই ভালোভাবে করার জন্য প্রস্তুত।'
বিশ্ব আসরে ব্যাটিংয়েও অনেক কিছু শিখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। বড় বড় দলের বিপক্ষে খেললাম, এরকম আবহে… এই অভিজ্ঞতাটা কাজে দেবে ব্যাটিংয়ে। মাঝে ৫-৬ ম্যাচ একদমই ভালো হয়নি। কী কী ভুল ছিল বা অন্যান্য বড় দলের ব্যাটসম্যানরা টপ অর্ডারে কীভাবে রান করছিল…অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওখান থেকে কীভাবে সামনে উন্নতি করতে পারি, মূল বিষয় হবে সেটা। সামনে যদি সুযোগ আসে।'