ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে
৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সংঘাত শুরুর পর থেকে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি বাদে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিজিওনাল ইমারজেন্সি ডিরেক্টর রিচার্ড বলেছেন, নিহতের সংখ্যার ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বিশ্বাসযোগ্য।
যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা গণনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাইকেল স্প্যাগাট বলেন, যে হারে এ সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তা 'অস্বাভাবিক রকমের বেশি'।
গাজার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ। সেই হিসাবে উপত্যকার প্রায় ১ শতাংশ মানুষ নিহত হয়েছে ইসরায়েলি আক্রমণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ায় বোমা হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। ১০ কিলোমিটার চওড়া ও ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষ বাস করত।
মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুসারে, চলমান সংঘাতে মধ্য-ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজায় ২৯ হাজারের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৮ হাজারের বেশি শিশু এবং ৬ হাজার ২০০-র বেশি নারী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩১০ জন চিকিৎসাকর্মী, ৩৫ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং ৯৭ জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের হামলার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে শিশুরা। গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের বয়সই ১৮ বছরের নিচে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৫২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।