ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার গেজেটে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের গেজেটে স্থগিতাদেশ [স্টে অর্ডার] দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলালের করা আবেদনের শুনানি পর বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুলাল অভিযোগ করেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট গণনায় কারচুপি করে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, '৭ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা করেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তবে পরদিন রিটার্নিং কর্মকর্তা আরেকটি ফলাফলপত্র ঘোষণা করেন যেখানে ৫৮ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ১৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।'
আইনজীবী আরও বলেন, 'বিকেল ৪টার পর ৯ শতাংশ ভোট পড়া সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমাদের কাছে সব প্রমাণ আছে।'
তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ভোট গণনায় কারচুপি করে রিটার্নিং কর্মকর্তা অবৈধভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
ফল স্থগিত রাখার পাশাপাশি ঝিনাইদহ-১ আসনের ফলাফল কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনের কাছে জবাব চেয়েছেন আদালত।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে আবদুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, আবদুল হাই পান ৯৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম দুলাল ট্রাক প্রতীকে ৮০ হাজার ৫৪৭ ভোট পান।