বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নয়জনই নারী
মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য ২০২০ সালে মোট ১৩ জন লেখক মনোনীত হয়েছেন। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, এরমধ্যে নয়জনই নারী। নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর দিচ্ছে।
এ বছর বুকার পুরস্কারের জন্য যে ১৩টি উপন্যাস মনোনায়ন পেয়েছে, তা হলো:
১। ডায়ান কুকের 'দ্য নিউ উইল্ডারনেস'।
২। সিৎসি ডাঙ্গারেম্বগার 'দিজ মর্নোবল বডি।
৩। অবনী দোশির 'বার্ন্ট সুগার'।
৪। গ্যাব্রিয়েল ক্রাউজের 'হু দে ওয়াজ'।
৫। হিলারি ম্যান্টেলের 'দ্য মিরর অ্যান্ড দ্য লাইট'।
৬। কলাম ম্যাকক্যানের 'এপিয়ারোগন'।
৭। মাজা মেনগিস্তের'দ্য শ্যাডো কিং'।
৮। কিলি রিডের 'সাচ অ্যা ফান এজ'।
৯। ব্র্যান্ডন টেলরের 'রিয়েল লাইফ'।
১০। অ্যান টেইলরের 'রেডহেড বাই দ্য সাইড অব দ্য রোড'।
১১। ডগলাস স্টুয়ার্টের 'শ্যুগেই বেইন'।
১২। সোফি ওয়ার্ডের 'লাভ অ্যান্ড আদার থট এক্সপেরিমেন্টস'।
১৩। সি পাম জাংয়ের 'হাউ মাচ অব দিজ হিলস ইজ গোল্ড'।
মনোনীত লেখকদের মধ্যে হিলারি ম্যান্টেল ও অ্যান টেইলর বিশ্ব সাহিত্যে বেশ জনপ্রিয় নাম। হিলারি ম্যান্টেলের 'দ্য মিরর অ্যান্ড লাইট' বইটি মূলত টমাস ক্রমওয়েল ট্রিলজির শেষ খণ্ড। ৮৭৫ পৃষ্ঠার বৃহৎ এ বইয়ে কিং অষ্টম হেনরির প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে টমাস ক্রমওয়েলের জীবনের শেষ বছরগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বইটি মার্চ মাসে প্রকাশিত হওয়ার থেকেই আলোচনায় আছে।
'দ্য মিরর অ্যান্ড দ্য লাইট' সম্পর্কে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বই-আলোচনায় সাইমন স্কামা লিখেছেন, 'এটা সত্য যে, এই বইটির পাঠক বইয়ের একটি শব্দও বাদ দিতে চাইবেন না।'
পারুল শেগাল দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের আরেক আলোচনায় লিখেছেন, বইটি আকারে সুবিশাল হলেও পৃষ্ঠা সংখ্যা যথাযথ। তিনি আরও লিখেন, 'এটি কোনো যুবকের বই না, বা এটা কারও সংগ্রামী জীবনের বইও না। এটি মধ্যযুগের শেষের দিকের সময়ের একটি উপন্যাস; এ বই ওই সময়কেই তুলে ধরেছে।'
'দ্য মিরর অ্যান্ড দ্য লাইট' যদি এবার বুকার পুরস্কার জিতে, তাহলে হিলারি ম্যান্টেল হবেন তিনবার বুকার জেতা প্রথম লেখক। তিনি ২০০৯ সালে 'ওল্ফ হল' এবং ২০১২ সালে 'ব্রিং আপ দ্য বডিস' বইয়ের জন্য এই পুরষ্কার জিতেছিলেন। আগের দুটি বইও ক্রমওয়েল কাহিনি।
এবার জমা পড়া ১৬২টি বই থেকে ১৩টি বাছাই করেছেন বিচারকরা। প্রধান বিচারক ছিলেন মার্গারেট বাসবি, বাকিদের মধ্যে অন্যতম থ্রিলার লেখক লি চাইল্ড এবং কবি লেমন সিসেস। গত বছর বুকারের নিয়ম ভেঙে দুজনকে লেখককে যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কানাডার নাগরিক মার্গারেট অ্যাটউডকে 'দ্য টেস্টামেন্টস' বইয়ের জন্য, অন্যজন অ্যাংলো-নাইজেরীয় লেখক বার্নাডিন এভারিস্তো 'গার্ল, উইমেন, আদার' নামক বইয়ের জন্য পেয়েছিলেন ওই পুরস্কার।