দুবাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধান করা হবে: দুদকের আইনজীবী
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠার পর আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) তাঁদের তলব করা হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, দুবাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধান করা হবে। 'যদি এসব দেশে তাঁদের জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়, সেগুলো ক্রোক ও জব্দের আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে দুদক।'
এ ছাড়া, বেনজীর আহমেদকে গ্রেফতার করা হবে কিনা- তা তদন্ত কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, প্রয়োজন মনে করলে আদালতে বেনজীর আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবেন তদন্ত কর্মকর্তা। তদন্তে যদি অপরাধলব্ধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়- তাহলে সেগুলো জব্দে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
দুদকের একটি সূত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানায়, দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি নোটিশে বেনজীর আহমেদকে আগামী ৬ জুন এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন কমিশনে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
দুদকের ওই সূত্রমতে, আয়কর ফাইলে বিপুল সম্পত্তি দেখিয়েছেন বেনজীর, কিন্তু তাঁর এসব সম্পদ ও আয়ের বৈধ উৎস সম্পর্কে এবার অনুসন্ধানের পরিকল্পনা করছে দুদক। বেনজীরের স্ত্রী ও সন্তানেরা মাছের ব্যবসাকে আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, এটিও খতিয়ে দেখা হবে।
খুরশীদ আলম খান টিবিএসকে বলেন, বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তারা বিদেশে কোনো অর্থপাচার করেছে কিনা, সে বিষয়েও অনুসন্ধান করছে দুদক।
এর আগে এদিন দুদকের এক অনুরোধের প্রেক্ষিতে, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা– বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিও অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেয়।
বিএসইসি'র কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা যেন শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ তুলে নিতে না পারেন সেজন্য এরমধ্যেই সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিডিবিএল বিও অ্যাকাউন্টের শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ হস্তান্তর ও নিষ্পত্তি করে থাকে।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এসব সম্পদ বেনজীর এবং তাঁর স্ত্রী এবং তিন সন্তানের নামে নিবন্ধিত।