পরোক্ষ ধূমপান থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কতোটা?
ধূমপায়ী ব্যক্তির ধোঁয়ার মাধ্যমে অন্যদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ নেই যে পরোক্ষ ধূমপান থেকে সরাসরি ভাইরাস ছড়াতে পারে যা কোভিড-১৯ এর কারণ হয় কিন্তু সংক্রমিত ধূমপায়ীরা যখন শ্বাস ছাড়েন তখন তারা ভাইরাস বহনকারী ড্রপলেট ছড়াতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের কথা বলা, কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ড্রপলেট বের হয় এবং এটিই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার প্রধান উপায় বল মনে করা হয়। এছাড়া ধূমপান করার সময়ও মানুষেরা একইভাবে ড্রপলেট ছড়াতে পারে।
সিডিসি'র তথ্য অনুযায়ী, পরোক্ষ ধূমপান হলো তামাকজাত পণ্য যেমন সিগারেট, সিগার বা পাইপ থেকে জ্বালানো ধোঁয়া যা ধূমপানরত ব্যক্তিরা একদফা গ্রহণের পর ধোঁয়া বের করে দিলে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে অন্যদের ফুসফুসে প্রবেশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুসফুস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. অ্যালবার্ট রিজো'র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র মাস্ক না পরেই তারা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে না, ড্রপলেট ছড়ানোর মাধ্যমেও তারা অন্যদেরকেও ঝুঁকিতে ফেলছে।
সিডিসি বলছে, তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারেরও বেশি কেমিক্যাল রয়েছে যার মধ্যে শত শত বিষাক্ত এবং প্রায় ৭০টি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। পরোক্ষ ধূমপান থেকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৩০ কোটি তামাক ব্যবহারকারীর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি বাস করে কম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।