‘জেতার জন্য যা করা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো’
ভারত সফরে যাওয়ার আগেই পাকিস্তান সিরিজের আলোচনায় লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, অতীত হয়ে যাওয়া কোনো কিছু নিয়ে বাংলাদেশ দল আর ভাবছে না। সিরিজটি নিয়ে বেশি কথা না বলতে সংবাদমাধ্যমেরও সাহায্য যান তিনি। ভারত সফরে গিয়ে প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন নাজমুল হোসেন শান্তও একই সুরে কথা বললেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক এও জানালেন, এখন আর ফল নিয়ে ভাবেন না তারা, প্রক্রিয়া মেনে এগোতে চান। তবে জেতার জন্য যা করতে হয়, সবই করার চেষ্টা থাকবে তাদের।
১৩ টেস্টে ১২ হার ও এক ড্র-এর রেকর্ড নিয়ে পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ। যাদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ই স্বপ্নের মতো, তাদের বিপক্ষে এবার বাংলাদেশ খেলেছে শাসন করে। দুই টেস্টেই ছড়ি ঘুরিয়ে সফরকারীরা সিরিজ জেতে ২-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ দেয় বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ রূপকথার গল্প লেখে। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬ উইকেটে জেতে দ্বিতীয় টেস্ট। কাল চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে সেটাই শান্তকে মনে করালেন একজন। প্রশ্নকর্তার প্রশ্নতেই থাকলো, এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মানে বাংলাদেশ এখন যেকোনো অবস্থা জয় করতে পারে; এই বিশ্বাস এখন অনেকেরই ।
একটু লম্বা প্রশ্নে পাকিস্তান সিরিজ থেকে মেলা আত্মবিশ্বাসের কথা উল্লেখ করেন প্রশ্নকর্তা। কিন্তু প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়ায় সেটাই যে আবার ভারতের বিপক্ষে চাপ হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিয়েও জানতে চান এই সংবাদকর্মী। শান্ত বলেন, 'পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যেটা বললেন, এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। এটা নতুন সিরিজ। ড্রেসিংরুমের বিশ্বাস, আমরা এখানেও খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। আমরা ফল নিয়ে ভাবছি না। প্রক্রিয়াটা অনুসরণ করতে চাই।'
ঘরের মাঠের ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জেতা কতোটা কঠিন, তা ভালো করেই জানেন শান্ত। তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের সেরাটা খেলায় দৃষ্টি তার। জেতার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সেসব করবেন জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'সবচেয়ে কঠিন একটি প্রতিপক্ষ, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। কিন্তু প্রতিপক্ষকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করে নিজেদের নিয়ে চিন্তা করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলটার সামর্থ্য আছে এখানে ভালো ক্রিকেট খেলার।'
'পাঁচ দিনের একটা ম্যাচ, এই পাঁচটা দিন আমরা কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। লক্ষ্য তো একটাই থাকে আমরা প্রতিটি ম্যাচটা জিতব, সব আন্তর্জাতিক দলেরই এই লক্ষ্য থাকে। আমাদের একই লক্ষ্য। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো করা প্রয়োজন, আমরা ওগুলোই করব। ফল নিয়ে যদি বলেন, পঞ্চম দিনে শেষ সেশনে গিয়ে ফল নিয়ে চিন্তা করবো। তার আগ পর্যন্ত আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো।' যোগ করেন তিনি।