শুক্র গ্রহে প্রাণের সম্ভাব্য নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে প্রাণের সম্ভাব্য নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা।
তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে উত্তপ্ত এ গ্রহের সালফিউরিক অ্যাসিডে ভারাক্রান্ত মেঘের মাঝে হয়ত উদ্ভট জীবাণুর বাস রয়েছে।
ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, হাওয়াই ও চিলির দুটি টেলিস্কোপ শুক্র গ্রহের পাতলা মেঘে ফসফিনের রাসায়নিক উপস্থিতি শনাক্ত করেছে। ফসফিন এমন এক ক্ষতিকর গ্যাস যা শুধুমাত্র প্রাণের অস্থিত্বের কারণে পৃথিবীতে পাওয়া যায়।
বেশ কয়েকজন মহাকাশ বিশেষজ্ঞ এবং এ গবেষণার লেখকরাও একমত যে নতুন ইঙ্গিতটি আশাজাগানিয়া কিন্তু তা অন্য গ্রহে জীবনের প্রথম প্রমাণ পাওয়া থেকে অনেক দূরে রয়েছে।
তারা বলেন, প্রয়াত কার্ল সাগান যে মান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অর্থাৎ 'অনন্য দাবির জন্য প্রয়োজন অনন্য প্রমাণ'- একে সন্তুষ্ট করার মতো না শুক্র গ্রহের বিষয়টি। কার্ল সাগান ১৯৬৭ সালে শুক্র গ্রহের মেঘে প্রাণের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান জানিয়েছিলেন।
আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোতে জ্যোতির্বিদদের প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানের ক্ষেত্রে একটি বড় পদ্ধতি হলো এমন রাসায়নিকের উপস্থিতি খুঁজে বের করা যা শুধুমাত্র জৈবিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হতে পারে, যাকে বলা হয় বায়োসিগনেচার।
সে অনুযায়ী হাওয়াইয়ে কাজ করা তিন জ্যোতির্বিদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের শুক্র গ্রহে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তারা খুঁজছিলেন তিনটি হাইড্রোজেন ও একটি ফসফরাসের পরমাণু নিয়ে গঠিত ফসফিন। পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই উপায়ে ফসফিন গঠিত হতে পারে। একটি হলো শিল্পজাত এবং অন্যটি হলো প্রাণি ও জীবাণুর মাধ্যমে।