দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৭৫ জন শনাক্ত
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৭৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে শনাক্ত করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দিল্লির বাইরের এলাকাগুলোয় তাদের ১২ ঘণ্টার এ যাচাই অভিযান শুরু হয়। যারা বৈধ নথিপত্র ছাড়া অবস্থান করছেন, তাদের শনাক্ত ও আটক করতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দিল্লির বাইরের এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৭৫ জনকে সন্দেহভাজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দিল্লিতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে অভিযান চালিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, ক্রমবর্ধমান অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে উদ্বেগের জেরে তাদের শনাক্ত করতে আউটার ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান ও যৌথ তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাতে এবং এবং সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয় থানাগুলোর পুলিশ সদস্য, ডিস্ট্রিক্ট ফরেনার সেলস ও বিশেষায়িত ইউনিটের সমন্বয়ে বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ দুই অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার ও আরও এক হাজারের বেশি জনকে চিহ্নিত করেছে বলে জানিয়েছিল।
পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব) রবি কুমার সিং সে সময় বলেছিলেন, অভিযানে এক হাজার জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে শনাক্ত এবং কালিন্দি কুঞ্জ ও হযরত নিজামউদ্দিন এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব ব্যক্তি বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল আহাদ (২২) ও মোহাম্মদ আজিজুল (৩২)।
দিল্লির মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন দিল্লির স্কুলগুলোতে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিশু পড়ালেখা করছে কি না, সেটি চিহ্নিত করার আদেশ জারি করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আহাদ জানিয়েছেন, তার বাড়ি সিলেট। তিনি কাজের সন্ধানে বাংলাদেশি এজেন্টের সহায়তায় গত ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে পৌঁছেছেন।
অন্যদিকে আজিজুলের বাড়ি ঢাকা। তিনি ২০০৪ সালে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন বলে স্বীকার করেছেন। এরপর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করে আসছিলেন।