একজন সারা গিলবার্ট ও তার করোনা ভ্যাকসিন
সারা গিলবার্টকে চেনেন নিশ্চয়ই! করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যারা একেবারে শুরুর দিনগুলো থেকে ভ্যাকসিনের সুখবর দিয়ে আসছেন, তাদেরই একজন এই সম্মুখ সারির যোদ্ধা। প্রথম দিকে এই ভ্যাকসিনোলজিস্ট ও তার দলের সাফল্যে অনেকেই তাকে বিজ্ঞানের নতুন যুগের পুরোধা হিসেবেও আখ্যায়িত করে ফেলেন।
এপ্রিলে সারা গিলবার্টের বায়োকেমিস্ট্রিতে পড়া একুশ বছর বয়সী তিন মেয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে অংশ নেবেন।
এটি তাদের মায়ের ভ্যাকসিন, তাদের মা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কিন্তু ভ্যাকসিন গবেষণা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কখনোই তার বিশদ আলাপ হয়নি।
'এই বিষয় নিয়ে সত্যিই কথা বলার সুযোগ হয়নি। আমার বাড়িতেই থাকা হয়নি সে সময়। এত ব্যস্ততায় দিন গেছে যে, আমরা সত্যিই এটি নিয়ে কথা বলার মতো যথেষ্ট সময় পাইনি,' বলেন সারা।
রাত-দিন পাল্লা দিয়ে কাজ করেছেন। যে কোনো মূল্যে এই প্রাণঘাতি মহামারির প্রতিষেধক আবিস্কার করতেই হবে, এ রকম পণ নিয়ে কাজ করে গেছেন। পরিবার, সন্তানের কথা মাথায় ছিল না!
সারা বলেন, 'আমরা বিরূপ পরিস্থিতির কথা জানতাম, ডোজ ব্যবহারের কথাও জানতাম; কারণ এই কাজ আগেও এতবার করেছি।'
'আমরা অবশ্যই পরীক্ষায় সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন থেকেছি,' আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান তিনি।
ট্রায়ালের পর সারার সন্তানেরা সবাই ভালো আছেন।
সারা গিলবার্ট ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকর হবে এবং কীভাবে তৈরি করা হবে তা দ্রুত নির্ধারণের দিকে শুরু থেকেই শতভাগ মনোনিবেশ করেছিলেন।
এপ্রিলে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে অক্সফোর্ড একটি চুক্তি করে, যেখানে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন, বিতরণ এবং অক্সফোর্ডের টিকার মাধ্যমে অধিকতর হিউমান ট্রায়াল পরিচালনার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা সাহায্য করবে। তাছাড়া টিকা কার্যকরভাবে প্রমাণিত হলে মহামারি চলাকালীন এই সংকটে অলাভজনক ভিত্তিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বিক্রয়ও করবে।
ইতোমধ্যে ২ বিলিয়নের বেশি ডোজের টিকা প্রস্তুত রাখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে একাধিক টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার চুক্তি সম্পন্ন।
সারা সব সময় প্রচারমাধ্যম এড়িয়ে চলেছেন। তার কাছে কাজ নিয়ে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারের চেয়ে নিভৃতে কাজের অগ্রগতি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ফলে দুই দশকের অধিক সময় কাজ করে গেলেও সারার নাম 'লাইমলাইটে' এসেছে বেশ দেরিতে। অবশ্য তার করা গবেষণাগুলো বিজ্ঞানের চেনা পরিচিত গণ্ডির মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল।
এখন এই সারাই কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বের সব হাই-প্রোফাইল চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তার দলই প্রথম ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে হাজারখানেক মানুষের ওপর করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ট্রায়ালকে তৃতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এখন বিভিন্ন দেশের জনসন অ্যান্ড জনসন, বায়োএনটেক, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, মর্ডানা, সানোফি ও নোভাভ্যাক্সের মতো প্রতিষ্ঠান সামিল হলেও এ বছরের এপ্রিলের শেষের দিকেই, অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটে সারা গিলবার্ট এবং তার সহকর্মীরা ১,১০০ জনের ওপর তাদের টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছিলেন। যে প্রকল্প অন্য সময়ে পাঁচ বছরে শেষ হতো, সেটি সারার দ্রুততায় মাত্র চার মাসে পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হয়ে দাঁড়ায়।
'যে মানদণ্ডে অন্যরা পরীক্ষা শুরু করার কথা, সারা গিলবার্ট ইতোমধ্যে ১০ হাজার ব্যক্তির ওপর তার কার্যকারিতার পরীক্ষা চালাতে সক্ষম হয়েছে। গিলবার্টের দল অন্য দেশের ভ্যাকসিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য কঠিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে,' যুক্তরাজ্য সরকারের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিংহাম গত জুলাইতে সংসদীয় কমিটির কাছে এ মন্তব্য করেন।
'তিনি তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে। এটিই বিশ্বের সর্বাধিক উন্নত ভ্যাকসিন।'
দেশ বিদেশের নামজাদা সব ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এক হয়েও কেন এতদিনে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারল না- এমন প্রশ্ন সবার মনেই কম বেশি উঁকি দিয়েছে। একটি সফল টিকার জন্য এত প্রতিযোগিতার আর পরীক্ষার পরেও কেনই-বা এখনো তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত হতে পারছে না!
আসলে বেশিরভাগ ভ্যাকসিনই শেষ পর্যন্ত লাইসেন্স পেতে ব্যর্থ হয়। রোগাক্রান্ত রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগের নিরাময় করা হয়। ওষুধের কাজ শেষ ওখানেই। কিন্তু ভ্যাকসিন অসুস্থের বাইরে সুস্থ-সবল মানুষের দেহেও প্রয়োগ করতে হয়, যেন শরীরে আশ্রয় নেওয়ার আগেই সে রোগের প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। ফলে একেকটি ভ্যাকসিন বা টিকার অনুমোদনের জন্য যে স্ট্যান্ডার্ড বা নিয়ামক নির্ধারণ করতে হয়, তা অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন এবং উন্নত হয়ে থাকে। তাছাড়া অনুমোদকেরা সাধারণত ভ্যাকসিনটির বহু বছরের সুরক্ষা-ডেটা দেখতে চান।
যে স্ট্যান্ডার্ডের ওপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে সফল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, এখনো সেখানেই সর্বজনস্বীকৃত স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করা যায়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) মতে, একটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই প্লেসবোয়ের (placebo) চেয়ে ৫০ শতাংশ অধিক কার্যকর হতে হবে। এটি শুধুই মার্কিন মুলুক কর্তৃক গৃহীত একটি স্ট্যান্ডার্ড; অন্যান্য দেশের নিয়ামকসমূহ যে ভিন্ন, তা বলাই বাহুল্য।
তবে গিলবার্ট তার উদ্ভাবনের সম্ভাবনার প্রতি অবিশ্বাস্য আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, অক্সফোর্ডের এ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রতিহত করে কোভিড-১৯-এর হাত থেকে ব্যক্তিকে রক্ষার শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনার হাত থেকে মুক্তি আদৌ মিলবে কি না- ব্রিটিশ সংসদীয় সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারা তাই বলে উঠেছিলেন, সুখবর আসবে শীত জেঁকে বসার আগেই।
ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন শুধু সংক্রমণ প্রতিরোধই করে না, পাশাপাশি রোগের আক্রমণ রক্ষা করার জন্য দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থাটিকে উদ্দীপিত করে। এ দু'য়ে মিলে তবেই ভ্যাকসিনটিকে সার্থক করে তোলে। জোনাস সালকের পোলিও টিকা সবচেয়ে কাছের উদাহরণ। এর মাধ্যমে শুধু পোলিও সংক্রমণ বন্ধই হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
'আমাদের রোগের বিরুদ্ধে উচ্চ স্তরের কার্যকারিতাপূর্ণ একটি টিকা দরকার, যা ভাইরাস সংক্রমণেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে', স্বয়ং সারার কাছেও তাই সফল ভ্যাকসিনের সংজ্ঞা নির্ধারণ সহজ নয়।
এবারই কিন্তু প্রথম নয়। বলা যায়, এই ভ্যাকসিনোলজিস্ট ও তার দলকে করোনা প্রতিরোধে এত দূর এগিয়ে আসার পেছনে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে কয়েক বছর আগে তাদেরই তৈরিকৃত ইবোলা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। ২০১৪ সালে জেনার ইনস্টিটিউট গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে ইবোলা ভাইরাসের টিকার প্রথম ট্রায়াল সম্পন্ন করে। বিশ্ব সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সে সময় ইবোলা বিপর্যস্ত আফ্রিকা বাঁচাতেও এগিয়ে আসেন এই সারা গিলবার্ট।
অনেকেরই হয়তো জানা নেই, ২০১৫ সালে মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম (মার্স) নামক করোনাভাইরাসেরই আরেকটি স্ট্রেইন নিউমোনিয়া এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি করে। ২০১২ সালে সৌদিতে এর উত্থান। গিলবার্ট শিম্পাঞ্জির এডেনোভাইরাসের সঙ্গে মার্স ভাইরাসের জিনগত সন্নিবেশ ঘটান। ২০১৫ সালের নভেম্বরে শীর্ষস্থানীয় ভ্যাকসিনোলজিস্টদের একটি সম্মেলনে সৌদি আরব ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। আশা করেছিলেন এখান থেকে এ ভাইরাসের গবেষণা ও ভ্যাকসিনের জন্য অর্থায়ন যোগ হবে। তবে সে আশায় গুঁড়ে বালি!
কিছু সরকারি অনুদান পুঁজি করে ২০১৬ সালে অক্সফোর্ড টিমের সঙ্গে মিলে তারা নিজেরাই ভ্যাকসিটেক নামে একটি বেসরকারি সংস্থা খুলে বসেন।
এবার যখন নতুন বছরের শুরুতে চীনে নিউমোনিয়া বিস্তারের কথা শোনেন, তখন অন্যদের মতো সারাও বুঝে উঠেননি, এটি এত দ্রুত ছড়াবে। 'আমি সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ভাইরাসের নতুন সিকোয়েন্সটি সম্পর্কে জানার পরেই প্রথমে ইঁদুরের ওপর নিরীক্ষা দিয়ে শুরু করব- এমন একটি পরিকল্পনা আমাদের ছিল,' বলেন তিনি।
চীনা বিজ্ঞানীরা ১০ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স আবিষ্কার করার পরেই চটজলদি সারা কাজ শুরু করে দেন।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে অক্সফোর্ডের সুবিধা হলো, এর অভ্যন্তরে ভ্যাকসিন উৎপাদনের সুযোগ বিস্তৃত। ফলস্বরূপ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের হিউমান ট্রায়ালের জন্য যতটুকু ভ্যাকসিন শটের প্রয়োজন ছিল, তা বেশ দ্রুত প্রস্তুত হয়ে যায়।
গিলবার্ট পরবর্তী ও বৃহত্তর ব্যাচটি ইতালীয় ফার্মেসি সংস্থা অ্যাডভেন্টের কাছ থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। যে কাজগুলো করতে মাসের পর মাস লেগে যায়, সেগুলোই তিনি একক সময়ে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে যাচ্ছিলেন- প্রাণীদের মধ্যে পরীক্ষা করা, মানব পরীক্ষার জন্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে আবেদন করা, পাশাপাশি চলছিল ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের রাজি করানো।
'তার বিভিন্ন বিষয়ে যে বিশদ জ্ঞান রয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ,' সারা সম্পর্কে এ মন্তব্য দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভ্যাকসিটেকের বিনিয়োগকারী এবং বোর্ড সদস্য অ্যান্ড্রু ম্যাকলিনের।
সারার বাকপটুতা ও যোগাযোগ দক্ষতার প্রশংসা করে অ্যান্ড্রু আরও বলেন, 'একজন বিজ্ঞানীর পক্ষে একইসঙ্গে ওষুধের প্রায়োগিক দিকগুলোর প্রতি খেয়াল রাখছেন, আবার সেয়ানে সেয়ানে এর প্রস্তুতকারকদের সঙ্গেও কথা বলে বাণিজ্যিক সরবরাহ নিশ্চিত করছেন, এমনটি সচরাচর দেখা যায় না।'
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অর্থের বিষয়টি সব সময়ই আলাদা গুরুত্ববহ। মার্চের গোড়ার দিকে গিলবার্টও টাকার সমস্যায় পড়েছিলেন। 'টাকার ব্যবস্থা না হলে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে না এবং সময়মতো আমরা হিউম্যান ট্রায়ালেও যেতে পারব না,' সে সময় অ্যান্ড্রুকে বলছিলেন সারা। পরবর্তীকালে অনুদানের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের কাজ সম্পন্ন করতে যতটুকু অর্থের সংস্থান হয়, সেখানেও তাই ছিল তার সক্রিয় ভূমিকা।
ভ্যাকসিন আবিষ্কার সময়ের ব্যাপার। এখন পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবু সাধারণ মানুষের হাতে সে টিকা কবে নাগাদ পৌঁছাবে, সেই নিশ্চয়তা খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও দিতে অক্ষম।
তাছাড়া, বৃহত্তর গোষ্ঠীর ওপর সে টিকার প্রভাব একই থাকবে কি না, বয়স্কদের শরীরেই-বা কতটুকু কার্যকরী হবে- সেসব লক্ষ্য করেই বোঝা যাবে, অক্সফোর্ডের টিকা করোনাভাইরাস মহামারির শেষ নিয়ে আসছে নাকি কেবল অপেক্ষাটুকুই আরেকদফা বাড়াতে চলেছে।
কোনো সার্জারি-ডায়ালাইসিস লাগেনি, শরীরের কোথাও কাটেনি-ছড়ে যায়নি, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর ওপর হয়নি রোগের আক্রমণ; আর তাই একবিংশ শতাব্দীতে এ বিজ্ঞানের যুগে কেই-বা ভেবেছিল সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টে মাসের ব্যবধানে মারা পড়বে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।
উন্নততম চিকিৎসা পদ্ধতি থাকার পরও যে ভাইরাস মহাপরাক্রমশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে, তার ভ্যাকসিনের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, তা সময়ই বলে দেবে। ততদিন আমরা চেয়ে থাকব সারা গিলবার্টদের দিকে, কামনা করে যাব মহামারি হতে মানবমুক্তির।