রাষ্ট্র কি কখনও ভেবেছে কেন হারিয়ে যায় ফুল বিক্রেতা শিউলিরা?
অফিস যাতায়াতের পথে শিউলি নামের ছোট্ট মেয়েটির সাথে আমার দেখা হতো প্রায়ই। ও রাস্তায় দৌঁড়ে দৌঁড়ে ফুল বিক্রি করতো। শিউলির বয়স খুব বেশি হলে এগারো-বারো হবে, মিষ্টি হাসিমাখা চেহারা। শিউলিকে আমার মনে হতো ও যেন নিজেই একটি ফুল। ও যা বিক্রি করতো, প্রয়োজন না থাকলেও কিনতাম যেন বাচ্চাটা কিছু কিনে খেতে পারে।
সংসদ ভবনের কোনায় বিজয় স্মরণীর মোড়ে অনেকের সাথে শিউলিও ফুল বিক্রি করতো। সব সময় ওকে সাবধান করতাম গাড়ির পেছনে ছুটবে না, সন্ধ্যার পর একা বেশি দূরে যাবে না এবং মায়ের কাছেই থাকবে, কেউ ডাকলে চট করে তার কাছে যাবে না। শিউলির মাও এখানেই ফুল বিক্রি করেন। তাও আমার ভয় ছিল শিউলিকে নিয়ে, শিউলির মতো আরও পথশিশুদের নিয়ে। এদের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই কোনো সুযোগ-সুবিধা। শিউলির মুখটা দেখলেই আমার মেয়ে, নাতনি ওদের কথা মনে হতো।
হঠাৎ একদিন লক্ষ্য করলাম এই পথে শিউলিকে দেখা যাচ্ছেনা, একদিন, দুইদিন এবং বেশ কয়েকদিন। সিগনালে দাঁড়িয়ে ওকে খুঁজি। কয়েকজন ফুল বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম শিউলির কথা। একজন জানালো, 'হুনছি ও মইরা গেছে, ওর মাও অহন আসে না।'
রাজধানীর শাহবাগে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে ফুল বিক্রেতা মেয়েশিশুটির ধর্ষণের খবর পড়ে ৬/৭ বছর আগের শিউলির মুখটা ভেসে উঠলো। ১৯ বছরের এক ছেলে এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। মনে হলো কি জানি, সেই শিউলির জীবনেও কি এমন ঘটনা ঘটে গেছে?
শাহবাগে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, রায়হান নামে অভিযুক্ত ছেলেটি ধরা পড়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির জীবন আর আগের মতো হবে না, আমি নিশ্চিত। ট্রমা ওকে ঘিরে থাকবে, ও ভীতু হয়ে যাবে অথবা সমাজ শিশুটিকে যৌনকর্মীর খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য করবে। এনজিওতে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, শিশু যৌনকর্মীদের অনেকেই এভাবে এই পথে এসেছে। অরক্ষিত শিশুকে ধর্ষণের মাধ্যমে এই ভয়াবহ জীবনে অভ্যস্ত করে তোলা হয়, এমনকি ছেলে শিশুদেরও। অবিশ্বাস্য সব কাহিনি আছে এরকম পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে।
শিশু ধর্ষণ যেমন বেড়েছে, ধর্ষণকারী হিসেবে শিশু-কিশোরের সংখ্যাও বেড়েছে। যেমন— ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ১৩ বছরের ছেলে। অন্যদিকে, ধর্ষক হিসেবে বেড়েছে বয়স্ক পুরুষের সংখ্যাও। প্রতিদিনের নিউজগুলো ফলো করলে এই তথ্যের সত্যতা চোখে পড়ে। ২০২৪ সালে মোট ৪০১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এরমধ্যে ১০৫টি গণধর্ষণ। শিশুর সংখ্যা ১৩৯ জন। বয়স জানা যায়নি ১৯১ জনের। (তথ্যসূত্র: আইন ও সালিশ কেন্দ্র)।
প্রতিবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, আমরা চমকে উঠি, হইচই করি, কিন্তু আবার আগের মতোই সব চলে। কোনো ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হলে কিংবা ঘটনার নৃশংসতা ভয়াবহ হলে কেবল প্রতিবাদের ঘটনা বড়ভাবে দেখা যায়। এর বাইরে আর কোনো ঘটনায় বড় প্রতিবাদ দেখা যায়নি। তাই গত কয়েক বছর ধরে দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে শিশুদের ওপরে ধর্ষণ আর নানান ধরনের যৌন নিপীড়নের ঘটনা।
শিশুদের ওপরে যৌন নিপীড়ন চালানোর একটা বড় কারণ বিকৃত মানসিকতা, যাকে ইংরেজিতে বলা হয়, পিডোফিলিয়া। মনোবিজ্ঞানে পিডোফিলিয়া মানসিক বিকৃতি বলেই স্বীকৃত। এরমধ্যে অন্যতম বড় কারণ পিডোফিলিয়া। ক্রমবর্ধমান হারে শিশুরা যে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, এর পেছনে আছে কুসংস্কারও। বহু মানুষ এমনটা বিশ্বাস করে যে, শিশু বা কুমারীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে যৌন রোগ নিরাময় হবে। তাহলে কি আমাদের ধরে নিতে হবে যে দেশে পিডোফিলিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে? যৌনবিষয়ক কুসংস্কার বাড়ছে? নাকি দেশের আইন ও সমাজ শিশুদের রক্ষা করতে পারছে না?
ধর্ষণ, বিশেষ করে শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হলো সমাজ একে এখনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করে; অপরাধ মনে করে না। সমাজের অধিকাংশ মানুষের ধারণা দরিদ্র এলাকার ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বেশি। কারণ তাদের আগলে রাখার কেউ থাকেনা এবং অভিভাবকরা কেয়ারফুল নন।
অথচ আমরা অনেকেই জানিনা বা বিশ্বাস করতে চাই না যে সব ধরনের পরিবারে শিশু নিজেদের লোক দিয়েই যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সামাজিক লজ্জার কারণে অধিকাংশ পরিবার একথা প্রকাশ করতে চায় না। শিশু যে যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে, অধিকাংশ অভিভাবক এ ধরনের আশঙ্কা করেন না। তারা ভাবেন, আমরাতো ঘরে-বাইরে শিশুর পাশেই আছি, তাহলে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটবে? এমনকি, ট্যাবুর কারণে তারা শিশুর সাথে বিষয়টি আলোচনাও করেন না, করেন না সতর্কও।
এছাড়া, আছে বিষয়টির প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞান ও গুরুত্বহীন আচরণ। ধর্ষণ এবং শিশু ধর্ষণের মতো অপরাধগুলোকে রাষ্ট্রব্যবস্থা খুব সাধারণ চুরি, ডাকাতির কেসের মতো মনে করে। এই অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে যে জিরো টলারেন্স ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল প্রয়োজন– এই দিকটায় কেউ গুরুত্ব দেন না। ফলে মামলাগুলো ঝুলে থাকে, অপরাধী সালিশ করার সুযোগ পায়, ভিকটিম ও তার পরিবারকে ভয় দেখায়, সাক্ষী হারিয়ে যায় ও প্রমাণ বা আলামত মুছে যায়। ফলে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি যেমন মুক্তি পেয়ে যায়, তেমনি ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ট্রমা নিয়ে বেঁচে থাকে, আত্মহত্যা করে অথবা লুকিয়ে থাকে।
ধর্ষণ মামলা যে ঝুলে থাকছে বছরের পর বছর, এর প্রমাণ প্রথম আলোতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঢাকার ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির (এনএফডিপিএল) বিভিন্ন বছরের ডিএনএ পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ধর্ষণের মামলার ৯২ শতাংশ ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা, জনবল-সংকট ও প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষার ব্যবস্থা কম থাকায় ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরিতে দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জট তৈরি হয়েছে ধর্ষণের মামলার। ল্যাবে এখন ২০২২ সালের ধর্ষণের মামলার ডিএনএ প্রতিবেদনগুলো ছাড় করা হচ্ছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ১ হাজার ৩০৪টি পরীক্ষার মধ্যে ১০০টির মতো প্রতিবেদন দিতে পেরেছে ল্যাব।
সংবাদে আরো বলা হয়েছে, ২০০৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৯ বছরে ১০,৩১৮টি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের একটি মামলাতেই নমুনা থাকে ৬-৭টি। ভুক্তভোগীর পোশাক, ঘটনাস্থলের যেকোনো জিনিস ইত্যাদি। নমুনা বেশি হওয়ায় পরীক্ষায় বেশি সময় লাগে। এর জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল, ল্যাবের আধুনিকায়ন দরকার।
মোট মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের মামলা, এ সংখ্যা ৬ হাজার ৭২০। জানা গেছে, জট সৃষ্টি হয়েছে মূলত ধর্ষণের মামলাগুলোর। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে প্রকৃত আসামি শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা অবশ্যই থাকতে হবে। তাই ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন দ্রুত দেওয়ার জন্য আরও বেশিসংখ্যক মানসম্মত ল্যাব স্থাপন, যথাযথ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েশিশুর পাশাপাশি বেড়েছে ছেলেশিশু ধর্ষণের ঘটনাও। শিশুরা এক শ্রেণির মানুষের যৌন বিকৃতির টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশু ও শিশুর পরিবার সামাজিক হেনস্থার মধ্যে পড়ে। শিশুরা তাদের প্রতি এই নিপীড়িনের কথা বুঝিয়ে বলতে পারে না, তারা ভয় পায়, বাধা দিতে পারে না, সহজেই তাদের ভুলানো ও ভয় দেখানো যায়। 'তোমার সঙ্গে কী হয়েছে' জানতে চাইলে কোনো শিশুই পুরোপুরি বুঝিয়ে বলতে পারে না। সব বয়সের পুরুষই এই সুযোগটা গ্রহণ করেন ও শিশুদের টার্গেট করেন।
৫০ থেকে ৭০ বছরের পুরুষ ৪/৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না। ধর্ষণের শিকার পরিবারগুলো বিচারের জন্য এগিয়ে আসতে ভয় পায়, লজ্জা পায় এবং ঝামেলা বলে মনে করে। বিশেষ করে, ছেলেশিশুর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে উদ্যোগ নিলেও পরে মামলা চালিয়ে নিতে অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ছেলে শিশুদের ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সংখ্যা ও ক্ষেত্র এখন আরও বেড়েছে। যদিও ছেলেশিশুদের চেয়ে মেয়েশিশুদের যৌন নির্যাতনের সংখ্যা বেশি। কিন্তু ছেলেদের ধর্ষণের ঘটনা আগে সীমিত ছিল। বোর্ডিং স্কুল বা মাদ্রাসায় হতো বলে অভিযোগ ছিল। এখন সেই ক্ষেত্র বেড়েছে। লঞ্চ-ঘাটে, বাস টার্মিনালে, বস্তিতে হাটে-বাজারের শ্রমজীবী শিশু ও পথশিশু– তারাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের দ্বারাও শিশুদের উপর ধর্ষণের ঘটনা হচ্ছে। তবে সেগুলো সাধারণত ঘরের বাইরে আসে না। বেশিরভাগ শিশু ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনা এভাবেই আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
আজ ২০/২৫ বছর ধরেই লক্ষ্য করছি, ধর্ষণের হার বাড়ছে, বিশেষ করে শিশুধর্ষণ। গত কয়েক বছর পর্যবেক্ষণের ফলে দেখা যায়, শিশু ধর্ষণের ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমন করে কমছে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুর বয়স। দেশের বেশ কিছু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার হিসাব মতে, মোট ধর্ষণের ঘটনার প্রায় অর্ধেকই শিশু। শিশুদের অর্ধেকের বয়স আবার ১২ বছরের নিচে। অনেকের বয়স ৬ বছরও পেরোয়নি।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের মতে, প্রতিমাসে গড়ে ৫৫টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুদের ওপর নির্যাতন বাড়ার কিংবা শিশু ধর্ষণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে অনেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অসচেতনতাকেও দায়ী করেন। এক শ্রেণির মানুষ শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি করছে। এদের কাছে শিশুরা ভালবাসার সম্পদ নয়, ভোগ্যপণ্য।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ ধরনের ঘটনা বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ। ভিকটিম পরিবারের অনেকেই জানেন না যে ঠিক কার কাছে, কীভাবে বিচার নিয়ে যাবেন? ন্যূনতম কতটা সময়ের মধ্যে প্রমাণ সংরক্ষণ করা যাবে? অধিকাংশ মানুষ পুলিশের কাছে বা আদালতে পৌঁছাতেই পারেন না। আর অনেকে দেখছেন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না, বরং সালিশে যেনতেনভাবে তাড়াতাড়ি মিটমাট হয়ে যায় যাচ্ছে। ফলে আক্রান্ত পরিবারগুলো সালিশের প্রতিই ঝুঁকছে। ধর্ষণের মামলা চলাকালীন বিভিন্ন বিব্রতকর পরিস্থিতি এবং বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা আইনের আশ্রয় নিতে পরিবারগুলোর মধ্যে অনীহা তৈরি করে।
আর দেশে যখন কোনো কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে ওঠে বা কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তখন এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পায়। ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য আইনের সাহায্য নিতে হয়, বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের সন্নিবেশ ঘটাতে গিয়ে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। আর এই সুযোগ গ্রহণ করে অপরাধী চক্র। যেমন– কোভিডকালে নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ সবকিছুই বেড়েছিল। মানুষ ছিল গৃহবন্দী এবং পুলিশ ও প্রশাসনও সক্রিয় ছিল না। আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই নাজুক। এর ফলে ধর্ষণের মতো অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে।
বিষয় সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, 'শিশু ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে আইন সংশোধন করা যেতে পারে, যেখানে শিশু ভিকটিমকে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে না। আইন সংশোধন করা যেতে পারে এভাবে যে, এক্সপার্টদের কাছে ভিকটিমকে নেওয়া হবে। এরপর তারা রিপোর্ট দেবে। এরপর আর কোনো প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে না। ওই চিকিৎসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে চার্জশিট দেবে পুলিশ। চিকিৎসকদের সাথে মানবাধিকার কর্মীও থাকতে পারেন।'
ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কতটা ভাবছে রাষ্ট্র? এ ধরনের মামলার বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়াটা জরুরি।
লেখক: যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক