ঢাকা কলেজ ছেড়ে দিলেন আবরারের ভাই ফাইয়াজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যার প্রেক্ষিতে তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিলেন।
ফাইয়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভাইয়ের নির্মম মৃত্যুর পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা কলেজের পড়াশুনা ছেড়ে দিতে কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তিনি।
তার পারিবারিক একটি সূত্র জানিয়েছে, আবরার ফাইয়াজ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে নতুন করে ভর্তি হবেন।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, “আজ সকালে মাকে নিয়ে কলেজে আসে ফাইয়াজ এবং ছাড়পত্র নিয়ে যায়।”
বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েক জনের নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজের হলে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে আবরার ফাহাদ নিহত হন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বড় ভাই আবরার ফাহাদের নৃশংস হত্যার পর থেকেই ঢাকায় আসতে ভয় পাচ্ছিলেন ফাইয়াজ। ভয়ে ও আতঙ্কে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে ফেসবুক পোস্টেও কষ্টের কথা লিখেন ফাইয়াজ।
এর আগে বুয়েট উপাচার্য কুষ্টিয়ায় তাদের গ্রামের বাড়িতে গেলে তাঁর সঙ্গে ফাইয়াজের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ফাইয়াজকে ধাক্কা দেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তখন তিনি লিখেছিলেন, “আমাকেও মেরে ফেলুক। মা-বাবা যা কষ্ট পাবার একবারেই পান।”
ফাইয়াজকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আবরারের মা-বাবাও। বরকতুল্লাহ বলেন, “আমার ছেলে হত্যায় জড়িতদের যেন স্থায়ীভাবে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়।”
তিনি দাবি জানান, আবরার হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে শেষ করতে হবে। তিনি খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান।