জ্বালানি তেলের বাজার ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দর উত্থান অব্যাহত আছে। অতি-সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির ঘটনায় বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এ পণ্যটির মূল্য গত ১১ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ অবস্থান অর্জন করেছে।
অপরিশোধিত জীবাশ্ম তেলের অন্যতম প্রধান বাজারসূচক ব্রেন্ট ক্রুড ১ শতাংশ বাড়ায় ব্যারেল প্রতি লেনদেন হয় ৫৭ ডলারের বেশি দরে। বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনীতিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় ভোক্তাচাহিদা শক্তিশালী হওয়ার কারণে জ্বালানি তেলের দর আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি সৌদি আরব সরবরাহ কমিয়ে উৎপাদন (উত্তোলন) নিয়ন্ত্রণের নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বাজারের চাঙ্গাভাব নতুন গতি লাভ করে। অতি-সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি জানায়, আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চে তারা আরও ১০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাবে।
ওপেক বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুলআজিজ বিন সালমান ব্লুমবার্গকে জানান, "বাজারের ভালোমন্দ দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের রয়েছে, এজন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একথা আমি আগেও বলেছি এবং আবারও বলছি; আমাদের দৃঢ়প্রত্যয় পরীক্ষা করার সাহস দেখানো কারো উচিৎ হবে না। যারা আমাদের কথা শুনেছেন, তারা এখন তার ভালো ফল ভোগ করছেন। যারা শুনবে না; তাদের বিলাপ চলতেই থাকবে।"
এর প্রতিক্রিয়ায় বাজার বিশ্লেষক স্প্রেডএক্স- এর বিশেষজ্ঞ কনর ক্যাম্পবেল মন্তব্য করেন, "সৌদি আরবের উৎপাদন কমানোর কারণেই বাজার ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে। ফলে পুঁজিবাজারে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম এবং শেলের মূল্যায়ন যথাক্রমে ৪.৪ ও ২.৫ শতাংশ ঊর্ধ্বগতি অর্জন করে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেও আরেকদফা জ্বালানি তেলের বাজারে উস্ফলন দেখা যায়। তার আগে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স চলতি গ্রীষ্মে ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়।
- সূত্র: ইউকে ইনভেস্ট ম্যাগাজিন