পাপুলের সম্পদের হিসাব চেয়ে কুয়েতের কারাগারে যাচ্ছে দুদকের নোটিশ
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সম্পদের হিসাব চেয়ে কুয়েতের কারাগার যাবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চিঠি।
অর্থপাচার ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে; গত বছরের ৬ জুন থেকে দেশটির কারাগারে আছেন পাপুল। তাই সম্পদের বিবরণ চেয়ে সেখানেই চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
দুদক আইন অনুসারে, কারো অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে- তার কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় সংস্থাটি। পাপুলের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন কুয়েতে তার সম্পদের নোটিশ পাঠানোর জন্য কমিশনে আবেদন করেন।
কমিশনের অনুমতির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুয়েত দূতাবাসের মাধ্যমে তার কাছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি এখন যাবে কুয়েতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি এই সাংসদের কাছে।
গত বছরের ১১ নভেম্বর দুদকের মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ইতিমধ্যে পাপুল, তার স্ত্রীসহ চার জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।